Saturday, February 25, 2012

  • কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি ভুল আর সে সঠিক, 
ক্ষমা চাওয়ার অর্থ এই যে,
আপনি আপনাদের সম্পর্কটিকে আপনার ইগো আর অহংকারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।

Sunday, February 19, 2012

প্রতিটি ভালো কাজই সদাকা


হযরত আবু মুসা আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : প্রত্যেক মুসলিমের সদাকা করা জরুরি । লোকজন জিজ্ঞেস করলো, কারো যদি সদাকা করার মতো কিছু না থাকে? তিনি বলেন : সে নিজ হাতে কাজ করবে যাতে সে নিজেও উপকৃত হতে পারে এবং সদাকাও করতে পারে । লোকজন বললো : যদি তা করার সামর্থ্য তার না থাকে কিংবা তা না করে? তিনি বলেন : সে কোনো অভাবী দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করবে । লোকজন বললো : সে তাও যদি না করে? তিনি বলেন : ভালো কাজের আদেশ করবে । একজন জিজ্ঞেস করলো : এটাও যদি সে না করে? তিনি বলেন : তাহলে সে যেন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে । সেটাই হবে তার জন্য সদাকা । (সহীহ বুখারী)
 

সদাকা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক । সদাকা মানে অন্যকে কোনো কিছু দান করা । কোনো অভাবীর অভাব পূরণ করা ।  কাউকে উৎসাহমূলক কোনো কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা । কোনো অভাবীর অভাব পূরণের জন্য সে ব্যক্তিকে সচ্ছল হতে হবে বিষয়টি তা নয় । বস্তুত এটি নির্ভর করবে তার নিয়ত বা মানসিকতার ওপর । আলোচ্য হাদিসে সদাকার স্তর বর্ণনা করা হয়েছে – কোনো লোক যদি সচ্ছল হয় অর্থাৎ সে যদি সামর্থ্যবান হয়, তাহলে সে অন্যকে সদাকা করবে বা দান করবে । যদি সে সামর্থ্যবান না হয়, তবে সে নিজ হাতে কাজ করবে । এটিই হবে তার জন্য সদাকা । এখানে অন্যের দ্বারা কাজ করানোর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । নিজে কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে । অর্থাৎ একজন ব্যক্তি অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের ওপর নির্ভরশীল হবে । এ কাজটিও যদি তার দ্বারা সম্ভবপর না হয় তাহলে সে ভালো কাজ করবে এবং অন্যকে ভালো কাজের আদেশ দেবে । এটিও যদি তার দ্বারা সম্ভব না হয়, তবে সে অন্তত খারাপ কাজ করবে না । অন্যের ক্ষতি হয় এহেন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে । এটি হলো সদাকার সর্বনিম্ন স্তর ।
এখানে রাসূল (সা) মূলত একজন ব্যক্তিকে ভালো কাজের উত্তম পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন । একজন মানুষ কিভাবে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে তার সর্বোত্তম নমুনা শিখিয়েছেন । ভালো কাজ করা সদাকা । কেউ যদি ভালো কাজ করতে না পারে, তবে সে অন্তত খারাপ কাজ করবে না। আর একজন ব্যক্তি যখন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে তখন এমনি এমনি তার দ্বারা ভালো কাজ হতে থাকে । তাই আমাদের উচিত রাসূল (সা) আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন তার যথাযথ অনুসরণ করা ।

এসো রাসূল (সা) সদাকার ব্যাপারে যে পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন আমরা তা অনুসরণ করি ।

গ্রন্থনায় : আবদুল কুদ্দুস মাখন
সবচেয়ে স্বার্থপর শব্দ হল - আমি,
এটাকে এড়িয়ে যাও। 

সবচেয়ে সন্তুষ্টিপূর্ণ শব্দ হল - আমরা,
এটাকে ব্যবহার কর। 

সবচেয়ে বিষাক্ত শব্দ হল - অহংকার,
এটাকে মেরে ফেল।

সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত শব্দ হল - ভালোবাসা,
এটাকে সম্মান দেও।

সবচেয়ে আনন্দদায়ক শব্দ হল - হাসি,
এটাকে ধরে রাখো।

সবচেয়ে দ্রুততম ব্যাপ্তিশীল শব্দ হল - গুঁজব,
এটাকে উপেক্ষা কর।

সবচেয়ে পরিশ্রমী শব্দ হল - সাফল্য,
এটাকে অর্জন কর।

সবচেয়ে বাঞ্ছনীয় শব্দ হল - ঈর্ষা,
এটা থেকে দূরে থাকো।

সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শব্দ হল - জ্ঞান,
এটাকে অর্জন কর।

সবচেয়ে অপরিহার্য শব্দ হল - আত্মবিশ্বাস,
এটাতে বিশ্বাস রাখো।
-collected

Friday, February 17, 2012

***গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার এর বার্তা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি ও ভারতীয় দালাল মোস্তফা জাব্বারকে জবাব***








আমরা স্বাধীনতা বিরোধী নয়, ধর্মীয় সন্ত্রাসী নয়... আমরা দেশের জন্য কাজ করছি..
* পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি-কে বলছি- এভাবে মিথ্যাচার না করলেও পারতেন। আমরা কোনভাবেই স্বাধীনতা বিরোধী নয়।
* মোস্তাফা জব্বারকে বলছি- যে ভারত আপনাকে তাদের দেশে যাওয়ার ভিসা দেয় না, সেই ভারতের জন্য কেন দালালী করেন? আর কত দালালী করবেন আপনি?

আমরা বাংলাদেশের সাইবার যোদ্ধা। সীমান্তে দেশের নাগরিকদের নিরাপদ জীবনের দাবী সহ বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যে ভারতের সঙ্গে ‘সাইবার যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছি। আমাদের যুদ্ধ চলছে, একের পর এক ভারতীয় ওয়েবসাইট আক্রমণ করে চলেছি।

#কেন আমাদের সাইবার যুদ্ধ?


আমাদের সাইবার যুদ্ধগুলোর পিছনে যে দাবী রয়েছে সেগুলো হল:
১. বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী হত্যা কর বন্ধ করতে হবে। দেখামাত্র গুলি করা কোন সভ্য জাতির আচরণ হতে পারেনা। আমরা তাদের কাছ থেকে মানবিক আচরণ চাই। আমরা বলতে চাই, সীমান্তে আর কোন বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ যেন না পড়ে।
২. টিপাইমুখ বাঁধ বন্ধ করতে হবে।
৩. তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
৪. আমরা চাই ভারতীয় কোন টেলিভিশন চ্যানেল আমাদের দেশে আসবে না, যদি আসে তাহলে আমাদের সবকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে পুরো ভারতে চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. বাংলাদেশ বিরোধী বিএসএফ-এর সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং অপরাধীদের সাজা দিতে হবে।
৬. ভারতকে বাংলাদেশ বিরোধী সব কর্মকাণ্ড থামাতে হবে।

#আমাদের মতো কিছু তরুণকে কেন যুদ্ধে নামতে হল?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ একের পর এক নিরীহ বাংলাদেশীকে হত্যা করে যাচ্ছে। এই রাষ্ট্র তার নাগরিক হত্যার প্রতিবাদ ঠিকমতো করতে পারছে না। নিজ নাগরিককে নগ্ন করে নির্যাতনের পরও যখন এই রাষ্ট্রযন্ত্র চুপ থাকে, দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দেশের নিরীহ মানুষদের প্রতি যার ভালোবাসা আছে, সে কিভাবে চুপ থাকবে? সে কেন চুপ থাকবে? সে কি বিবেকহীন? সে কি আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মত চোখ বুজে থাকে?
রাষ্ট্রযন্ত্র যখন এ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তখন আমাদের মতো একদল তরুণকেই এগিয়ে আসতে হয়েছে, আমরা কিভাবে প্রতিবাদ করতে পারতাম? এরকম সাইবার যুদ্ধ শুরু করা ছাড়া আমাদের আর উপায় কি?

#আমরা কি স্বাধীনতা বিরোধী? আমরা কি অপরাধী?
আমরা বলতে চাই, দেশের নিরীহ মানুষগুলোর বুকে তাজা গুলি যারা সহ্য করতে পারেনি সেইসব তরুণরাই এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে। হাজার হাজার তরুণ এখন এ সাইবার যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই যুদ্ধে যুক্ত হচ্ছেন সাধারণ যোদ্ধারা। কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা নেই এ যুদ্ধের। অথচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি আমাদের বলেন স্বাধীনতা বিরোধী! উইকলি ব্লিজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে দেখা যায়, তিনি সাইবার যোদ্ধাদের ‘স্বাধীনতা বিরোধী’ এবং ‘ইসলামী সন্ত্রাসী’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। দিপু মনি কি চিন্তা করেছেন যে তার এ কথায় কারা লাভবান হল? স্বাধীনতা বিরোধীরাই! তারা আজ বলতে পারবে, দেখ- আমাদের ছেলেরা কত ট্যালেন্ট! আমাদের কত ক্ষমতা!! আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছি!!!

আমাদের যুদ্ধে ইসলাম বা অন্যকোন ধর্ম নিয়ে আমাদের কোন ইস্যু নেই, তাহলে কেন আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী এ প্রতিবাদকে ধর্মের সাথে মিশিয়ে ফেলছেন? খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, এই সীমান্তে হত্যা কিংবা নির্যাতনের প্রতিবাদে সবাই শামিল আছে। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান কিংবা বৌদ্ধ। সব ধর্মের যোদ্ধারাই নীরবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন হিন্দু যোদ্ধা কিভাবে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী’ হয়?
আমাদের সাফ কথা, আমাদের কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। আমরা স্বাধীনতা বিরোধী কোন কার্যকলাপ তো করছিই না বরং স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবার বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলছি।
আমরা মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে চাই, আর কত চোখ বুজে থাকবেন? শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে সাধারণ মানুষের কণ্ঠ আপনি কিভাবে শুনতে পাবেন? সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে আসুন, সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর শুনুন। আপনাকে অনুরোধ, আপনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মন্তব্য একবার ঘেঁটে দেখবেন কি? তবেই বুঝতে পারবেন তরুণরা কি বলতে চায়। আর সর্বশেষ অনুরোধ, আপনি আপনার বক্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করুন, বক্তব্য তুলে নিন।

দেশের নামসর্বস্ব তথ্য-প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা নাকি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ধ্বংস করার জন্য নেমেছি। তাঁকে বলতে চাই, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে কতটি বছর ধরে আপনারা পিছিয়ে রেখেছেন তা কি আমরা ভুলে গেছি? তরুণরা অনেক কিছুই বোঝে, অন্তত কোনটি ভালো কোনটি মন্দ সেটি বোঝার ক্ষমতা তাদের আছে। তারাও এটাও বোঝে যে কি কি বাঁধা তৈরি করে আপনারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছেন। আপনি বিসিএসের প্রেসিডেন্ট যখন ছিলেন, তখন দেশে নামসর্বস্ব কিছু তথ্যপ্রযুক্তি মেলা করা ছাড়া আর কি করতে পেরেছেন? দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কোন সমস্যাটি সমাধানে আপনি ভূমিকা রেখেছেন? বানিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া আপনার কোন কর্মকান্ডটি আছে বলতে পারবেন? তরুণরা এসব ভুলেনি, ভুলবে না।

তাঁর মতে, আমরা খুব ভয়ংকর রকমের অপরাধ করছি! আমরা তাঁকে বলতে চাই, সীমান্তে 'নিরীহ' মানুষ হত্যা করা কি অপরাধ নয়? গুলি করে পাখির মত কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখাটা কি অপরাধ নয়? একজন মানুষকে উলঙ্গ করে পৈশাচিক উল্লাস করাটা কি অপরাধ নয়? আপনি আমাদের এমন একটা উপায় বলে দিন তো দেখি, যে উপায়ে আপনার ভারতের দাদাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারি এবং সে উপায়টি হয় ‘ভালো’।

সাইবার যোদ্ধাদের আক্রমণের মধ্যে কিছু ভারত-প্রেমী জামাত-শিবির খুঁজে বের করেছেন। তারা দাবী করেছেন জামাত শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ভারতের উপরে সাইবার আক্রমণ করেছে। আমরা বলতে চাই, আমরা পূর্ণ দেশপ্রেম থেকেই এ ধরণের যুদ্ধ শুরু করেছি, চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা যুদ্ধ করছি কেবল আমাদের দাবীগুলো পূরণ করতে, বিজয় না আসা পর্যন্ত এখন আর পিছু হটার সুযোগ নেই। যতক্ষণ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হচ্ছে, আমাদের প্রতিরোধ প্রতিবাদ যুদ্ধ চলতেই থাকবে।

আমরা আজ যে প্রতিবাদ করছি তার আসলে কোন দরকার ছিল না, যদি আমাদের প্রতিনিধিরা-কূটনৈতিকরা তাদের স্থান থেকে সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান করতে পারতেন।

‘বীর বাঙ্গালী কিবোর্ড ধর, ভারত সাইবার ধ্বংস কর’

আমাদের সোজা কথা, দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সাইবার যুদ্ধ চলবে। আমাদের ভাই-বোনেরা পাখির মতো গুলি খেয়ে কাঁটাতারে ঝুলে থাকবে আর আমরা নীরবে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকবো তা কি করে হয়? আমাদের শরীরে বিদ্রোহীর রক্ত, স্বাধীনতার রক্ত.. সে রক্ত কি আজ প্রতিবাদের পক্ষে কথা বলবে না? আমরা তরুণদের আহ্বান জানাই আমাদের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য, যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য। https://www.facebook.com/pages/Bangladesh-Black-HAT-Hackers/223971171015070  and 
http://www.facebook.com/home.php?sk=group_161699220539494  ঠিকানায় আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজটি পাওয়া যাবে। সেখানে সবাইকে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মিডিয়া রিলেশন ডিপার্টমেন্ট,
বাংলাদেশ ব্লাকহ্যাট হ্যাকার
ইমেইল: bangladeshblackhathacker@gmail.com
.


copy from: