tag:blogger.com,1999:blog-42241570853855051602024-02-07T09:10:23.076+06:00SHOWPNO JOGATWelcome All In Showpno Jogat... . . আমি আমার জগতে স্বাধীন.............স্বপ্নবাজ।Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.comBlogger105125tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-69126186868698950512019-01-22T03:52:00.004+06:002019-01-22T03:52:56.411+06:00Good intentions (how to be on time)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
You probably know people who are late. <a href="https://www.feld.com/archives/2019/01/manage-the-clock.html" target="_blank">Often</a>.<br />
<br />
They don’t want to be late. In fact, their good intentions are probably the reason that they are late. They might try one technique or another, and even apologize for being late, and yet it happens again.<br />
<br />
There is one reason and one <b>amplifying factor.</b><br />
<br />
The amplifying factor is that when they’re late, people wait for them.<br />
<br />
You might notice that things that leave on time (commuter trains, airplanes, live TV shows etc) almost never have a crowd of people showing up five or ten minutes late cursing out the system. For those things, the things that are known to leave on time, they manage to show up. That’s because their good intentions are not welcome here.<br />
<br />
And the <b>reason?</b><br />
<br />
The reason is that in every interaction, they want to connect a bit more, respect the other person’s ideas and contribute in that moment. They do that by spending their most precious resource on their behalf. What’s happening is that they are looking for a magical way to get more minutes in the day.<br />
<br />
Of course, the person they’re meeting with doesn’t need five more minutes of their time. They need five more hours of their time. But it feels like giving them five minutes one doesn’t have is a way of showing them that they care.<br />
<br />
The alternative is a simple as it is difficult: Say no.<br />
<br />
Say it without rushing and without stress. “I’m sorry, our time is up.”<br />
<br />
An overloaded truck isn’t a more efficient way to move gravel (or anything else). And when you overload your day by treating time as squishy based on how much you care, you’ve just become inefficient and thus disrespectful.<br />
<br />
Lots of other things in our life aren’t squishy. Gravity, for example, or the solidity of dry wall. They are what they are.<br />
<br />
So is time if you let it.<br />
<br />
The hard part about being on time is standing up and moving on. But the cost of being squishy is that you’re not only disrespecting the next person, you’re stressed all the time.<br />
<br />
Stand up and walk out.<br />
<br />
People will learn, and they’ll end up respecting you for it, because it’s not personal. Just as it’s not personal when the train leaves on time. The alternative, which is squishiness, is personal. Because if you like someone, you’re willing to be even more late than usual.<br />
<br />
Time’s up.<br />
<br />
Source: <a href="https://seths.blog/2019/01/good-intentions-how-to-be-on-time/">https://seths.blog/2019/01/good-intentions-how-to-be-on-time/</a></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-82608277719416481142015-09-09T11:07:00.002+06:002015-09-09T11:07:32.105+06:00সাফল্যের জন্য অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে; নো শর্টকাটস্<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
২৭ বছর বয়সে যখন হন্যে হয়ে ব্যাংকে চাকরি খুঁজছেন, তখন আপনারই বয়েসি কেউ একজন সেই ব্যাংকেরই ম্যানেজার হয়ে বসে আছেন। আপনার ক্যারিয়ার যখন শুরুই হয়নি, তখন কেউ কেউ নিজের টাকায় কেনা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে আপনার সামনে দিয়েই চলে যাচ্ছে। কর্পোরেটে যে সবসময় চেহারা দেখে প্রমোশন দেয়, তা নয়। দিন বদলাচ্ছে, কনসেপ্টগুলো বদলে যাচ্ছে। শুধু বেতন পাওয়ার জন্য কাজ করে গেলে শুধু বেতনই পাবেন। কথা হল, কেন এমন হয়? সবচাইতে ভালটি সবচাইতে ভালভাবে করে কীভাবে? কিছু ব্যাপার এক্ষেত্রে কাজ করে। দুএকটি বলছি।<br />
<br />
প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা। যারা আপনার চাইতে এগিয়ে, তারা আপনার চাইতে বেশি পরিশ্রমী। এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না। শুধু পরিশ্রম করলেই সব হয় না। তা-ই যদি হত, তবে গাধা হত বনের রাজা। শুধু পরিশ্রম করা নয়, এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা। অনলি ইওর রেজাল্টস্ আর রিওয়ার্ডেড, নট ইওর এফর্টস্। আপনি এক্সট্রা আওয়ার না খাটলে এক্সট্রা মাইল এগিয়ে থাকবেন কীভাবে? সবার দিনই তো ২৪ ঘণ্টায়। আমার বন্ধুকে দেখেছি, অন্যরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সে রাত জেগে আউটসোর্সিং করে। ও রাত জাগার সুবিধা তো পাবেই! আপনি বাড়তি কী করলেন, সেটাই ঠিক করে দেবে, আপনি বাড়তি কী পাবেন। আপনি ভিন্নকিছু করতে না পারলে আপনি ভিন্নকিছু পাবেন না। বিল গেটস রাতারাতি বিল গেটস হননি। শুধু ভার্সিটি ড্রপআউট হলেই স্টিভ জবস কিংবা জুকারবার্গ হওয়া যায় না। আমার মত অনার্সে ২.৭৪ সিজিপিএ পেলেই বিসিএস আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে যাওয়া যাবে না। আউটলায়ার্স বইটি পড়ে দেখুন। বড় মানুষের বড় প্রস্তুতি থাকে। নজরুলের প্রবন্ধগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন, উনি কতটা স্বশিক্ষিত ছিলেন। শুধু রুটির দোকানে চাকরিতেই নজরুল হয় না। কিংবা স্কুলকলেজে না গেলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাওয়া যাবে না। সবাই তো বই বাঁধাইয়ের দোকানে চাকরি করে মাইকেল ফ্যারাডে হতে পারে না, বেশিরভাগই তো সারাজীবন বই বাঁধাই করেই কাটিয়ে দেয়।<br />
<br />
স্টুডেন্টলাইফে কে কী বলল, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আমাদের ব্যাচে যে ছেলেটা প্রোগ্রামিং করতেই পারত না, সে এখন একটা সফটওয়্যার ফার্মের মালিক। যাকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি, সে এখন হাজার হাজার মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। ক্যারিয়ার নিয়ে যার তেমন কোন ভাবনা ছিল না, সে সবার আগে পিএইচডি করতে আমেরিকায় গেছে। সব পরীক্ষায় মহাউত্সানহে ফেল করা ছেলেটি এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনি কী পারেন, কী পারেন না, এটা অন্যকাউকে ঠিক করে দিতে দেবেন না। পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাননি? প্রাইভেটে পড়ছেন? কিংবা ন্যাশনাল ভার্সিটিতে? সবাই বলছে, আপনার লাইফটা শেষ? আমি বলি, আরে! আপনার লাইফ তো এখনো শুরুই হয়নি। আপনি কতদূর যাবেন, এটা ঠিক করে দেয়ার অন্যরা কে? লাইফটা কি ওদের নাকি? আপনাকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে কেন? কিংবা ডাক্তারি পাস করে কেন ডাক্তারিই করতে হবে? আমার পরিচিত এক ডাক্তার ফটোগ্রাফি করে মাসে আয় করে ৬-৭ লাখ টাকা। যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেন, আপনার এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে আপনার নিজের উপর। শুধু ‘ওহ শিট’, ‘সরি বেবি’, ‘চ্যাটিংডেটিং’ দিয়ে জীবন চলবে না। আপনি যার উপর ডিপেনডেন্ট, তাকে বাদ দিয়ে নিজের অবস্থানটা কল্পনা করে দেখুন। যে গাড়িটা করে ভার্সিটিতে আসেন, ঘোরাঘুরি করেন, সেটি কি আপনার নিজের টাকায় কেনা? ওটা নিয়ে ভাব দেখান কোন আক্কেলে? একদিন আপনাকে পৃথিবীর পথে নামতে হবে। তখন আপনাকে যা যা করতে হবে, সেসব কাজ এখনই করা শুরু করুন। জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়, কিছু ভাল মুভি দেখতে হয়, কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়, কিছু ভাল জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, কিছু ভাল কাজ করতে হয়। জীবনটা শুধু হাহা-হিহি করে কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়।<br />
<br />
একদিন যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তখন দেখবেন, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। স্কিল ডেভেলাপমেন্টের জন্য সময় দিতে হয়। এসব একদিনে কিংবা রাতারাতি হয় না। “আপনার মত করে লিখতে হলে আমাকে কী করতে হবে? আমি আপনার মত রেজাল্ট করতে চাই। আমাকে কী করতে হবে?” এটা আমি প্রায়ই শুনি। আমি বলি, “অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে। নো শর্টকাটস্। সরি!” রিপ্লাই আসে, “কিন্তু পড়তে যে ভাল লাগে না। কী করা যায়?” এর উত্তরটা একটু ভিন্নভাবে দিই। আপনি যখন স্কুলকলেজে পড়তেন, তখন যে সময়ে আপনার ফার্স্ট বয় বন্ধুটি পড়ার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত, সে সময়ে আপনি গার্লস স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এখন সময় এসেছে, ও ওখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আর আপনি পড়ার টেবিলে বসে থাকবেন। জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে হয়, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করলে, যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করার কথা, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিন। মেনে নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান। এখনই সময়!<br />
<br />
বড় হতে হলে বড় মানুষের সাথে মিশতে হয়, চলতে হয়, ওদের কথা শুনতে হয়। এক্ষেত্রে ভার্সিটিতে পড়ার সময় বন্ধু নির্বাচনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সাবকনশাস মাইন্ড আপনাকে আপনার বন্ধুদের কাজ দ্বারা প্রভাবিত করে। আমরা নিজেদের অজ্ঞাতসারেই আমাদের চাইতে ইনফেরিয়র লোকজনের সাথে ওঠাবসা করি, কারণ তখন আমরা নিজেদেরকে সুপিরিয়র ভাবতে পারি। এ ব্যাপারটা সুইসাইডাল। আশেপাশে কাউকেই বড় হতে না দেখলে বড় হওয়ার ইচ্ছে জাগে না। আরেকটা ভুল অনেকে করেন। সেটি হল, ধনীঘরের সন্তানদের সাথে মিশে নিজেকে ধনী ভাবতে শুরু করা। মানুষ তার বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। উজাড় বনে তো শেয়ালই রাজা হয়। আপনি কী শেয়ালরাজা হতে চান, নাকি সিংহরাজা হতে চান, সেটি আগে ঠিক করুন।<br />
<br />
বিনীত হতে জানাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। যারা অনার্সে পড়ছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই এটার অভাব রয়েছে। এখনো আপনার অহংকার করার মত কিছুই নেই, পৃথিবীর কাছে আপনি একজন নোবডি মাত্র। বিনয় ছাড়া শেখা যায় না। গুরুর কাছ থেকে শিখতে হয় গুরুর পায়ের কাছে বসে। আজকাল শিক্ষকরাও সম্মানিত হওয়ার চেষ্টা করেন না, স্টুডেন্টরাও সম্মান করতে ভুলে যাচ্ছে। আপনি মেনে নিন, আপনি ছোটো। এটাই আপনাকে এগিয়ে রাখবে। বড় মানুষকে অসম্মান করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। নিজের প্রয়োজনেই মানুষকে সম্মান করুন।<br />
<br />
সুশান্ত পাল<br />
৩০তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম<br />
(ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত)</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-89609457487300983122015-06-27T00:13:00.001+06:002015-06-27T00:13:55.041+06:00Sayyidul Istighfar সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: large;">The Prophet, Sallallahu Alayhi Wa Aalihi Wa Sallam, added, “If somebody recites it during the day with firm faith in it and dies on the same day before the evening, he will be from the people of Paradise and if somebody recites it at night with firm faith in it and dies before the morning he will be from the people of Paradise.”</span><br />
<br />
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন, “যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়েদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।” (বুখারী)<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><br /></span>
<span style="font-size: x-large;">اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ</span><br />
<br />
<br />
<span style="font-size: large;">Allahumma anta rabbee la ilaha illa ant, khalaqtanee wa-ana AAabduk, wa-ana AAala AAahdika wawaAAdika mas-tataAAt, aAAoothu bika min sharri ma sanaAAt, aboo-o laka biniAAmatika AAalay, wa-aboo-o bithanbee, faghfir lee fa-innahu la yaghfiruth-thunooba illa ant.</span><br />
<br />
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।<br />
<br />
<br />
<span style="font-size: large;">O Allaah, You are my Lord, none has the right to be worshipped except You, You created me and I am You servant and I abide to Your covenant and promise as best I can, I take refuge in You from the evil of which I committed. I acknowledge Your favour upon me and I acknowledge my sin, so forgive me, for verily none can forgive sin except You.</span><br />
<br />
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।<br />
<br />
[105]বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪।</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com9tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-62228284409663759962015-06-26T23:57:00.002+06:002015-06-26T23:57:29.026+06:00সিজদার বিভিন্ন দোয়া<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সালাতে সিজদার জন্য শুধু একটি দোয়াই শিখেছি। অথচ আমাদের রাসুল ﷺ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া সিজদার সময় পড়েছেন এবং শিখিয়েছেন। আসুন এই সহজ দোয়াগুলো আমরা শিখে নিই এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোয়াগুলো যেকোনো একটি করে বিভিন্ন সময়ে পড়ি, যাতে সালাতের অতি অভ্যস্ততার কারণে অমনোযোগিতা আমরা দূর করতে পারি। সেই সাথে কিছু সুন্নাহ জাগ্রত করতে পারি।<br />
<br />
১) سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى<br />
“সুবহানা রব্বিয়াল ‘আলা”<br />
অর্থঃ আমার মহান সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার)<br />
[সহীহ আত তিরমিযী ১/৮৩]<br />
<br />
২)سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي<br />
“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকাল্লাহুম মাগফিরলী”<br />
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার রব্ব! তোমার পূত পবিত্রতা ঘোষণা করি (তোমার প্রসংশা সহ) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও।<br />
[বুখারী ও মুসলিম]<br />
<br />
৩) سُبُّوحٌ، قُدُّسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ<br />
“সুব্বুহুন ক্কুদ্দুসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ”<br />
অর্থঃ ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদ্দুস (জিব্রাঈল আঃ) এর রব প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় এবং গুনাবলীতে পবিত্র।<br />
[মুসলিম ১/৫৩৩]<br />
<br />
৪) اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ<br />
“আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা ‘আ-মানতু ওয়ালাকা ‘আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খলাক্কাহু ওয়াসাও ওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু তাবারকাল্লাহু আহসানুল খ-লিক্কীন”<br />
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য সিজদা করেছি, তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছি, আমার মুখমণ্ডল (আমার সমগ্র দেহ) সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন এবং উহার কর্ণ ও চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা।<br />
[মুসলিম ১/৫৩৪]<br />
<br />
৫) "سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرْوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ".<br />
“সুবহানা যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি ”<br />
অর্থঃ পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী।<br />
[আবু দাউদ ১/২৩০]<br />
<br />
৬) اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ<br />
“আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবীকুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউওয়ালাহু ওয়াআ-খিরাহু ওয়া ‘আলানিয়াতা ওয়া সিররাহু”<br />
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও, ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য এবং গোপন গুনাহ।<br />
[মুসলিম ১/৩৫০]<br />
<br />
৭) اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ منْ عُقُوبَتِكَ، وَاَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ<br />
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বিমু’আ-ফাতিকা মিন ‘উক্কুবাতিকা ওয়া ‘আউযু বিকামিনকা, লা-উহসী সানা-আন ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা”<br />
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই তোমার অসন্তুষ্টি হতে তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে, তোমার শাস্তি হতে তোমার ক্ষমার মাধ্যমে, আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার গজব হতে। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যায় না; তুমি সেই প্রশংসার যোগ্য নিজের প্রশংসা যেরূপ তুমি নিজে করেছ।<br />
[মুসলিম ১/৩৫২]</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-47139577587086651912014-09-28T01:15:00.000+06:002014-09-28T01:15:15.444+06:00দেশে হঠাৎ কেন এই আইএস আতঙ্ক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
নিত্যদিনের কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও দৈনিক যুগান্তরের লিড নিউজ ‘কোথায় ছিল এতোদিন’ রির্পোটটি পড়তে হলো। বাংলাদেশ জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে, এদেশের তরুণরা আইএস-এ যোগ দিতে যাচ্ছে এমন খবর যখন কিছু মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে; এ ধরণের খবর মানুষ বিশ্বাস করুক না করুক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে ঠিকই; তখন ২৭ সেপ্টেম্বরে যুগান্তরের এ অনুসন্ধানী রিপোর্টটি সাম্রাজ্যবাদের এজেন্টদের যেন ‘মুখোশ’ খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ-যুবকদের আইএস এ যোগদান এবং জঙ্গি হয়ে ওঠার ‘কল্পকাহিনী’ যারা মাঝে মাঝে ফাঁদেন তাদের চাতুর্যপনা দেশবাসীর সামনে উন্মোচন করেছে পত্রিকাটি পরিবেশিত তথ্যে।<br />
<br />
<br />
বিশ্বায়নের যুগে বিশ্ব রাজনীতির বাইরে নয় বাংলাদেশ। তথ্য প্রযুক্তির যুগে পশ্চিমারাই সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকা-ের নামে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে; মুসলমানদের অগ্রগতি ঠেকাতে বিশ্বের দেশে দেশে ইসলামপন্থীদের নামে জঙ্গিবাদ তকমা লাগিয়ে দিচ্ছে। তালেবান, আল কায়দা, আল শাবাব, আল নুসরা ইত্যাদি নামের সংগঠনকে ঠেকানোর নামে গোটা বিশ্বকে সন্ত্রাসের লীলাভূমিতে পরিণত করেছে। মধ্যপাচ্যসহ বিশ্বের অনেকগুলো মুসলিম রাষ্ট্রে সন্ত্রাস দমনের নামে লাখো মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে, হচ্ছে। কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের পর থেকে লাখ লাখ ইরাকী সুন্নি সিরিয়া, তুরস্কসহ পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। ইরাকের সুন্নি নাগরিক ও বার্থ পার্টির লাখো সদস্যকে সে সময় হত্যা করা হয়েছে। সুন্নী নারীদের নির্বিচারের ধর্ষণ করা হয় এবং ইরাকের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। সেগুলো সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে মানবাধিকার লংঘন এবং সন্ত্রাসবাদ মনে হয়নি। চীন, ফিলিপাইন, আর্মেনিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তানে কি হচ্ছে তাতো মানুষ দেখছে। তখন শিক্ষিত যুবকরা ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হচ্ছে। পবিত্র কোরআনকে জানা-বোঝার চেষ্টা করছে। নিজেকে ইসলামপন্থী হিসেবে গড়ে তোলার অনুশীলন করছে। আমেরিকা নিজেদের স্বার্থে দেশে দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রয়োজনে যাদের ব্যবহার করছে; প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাদের গায়ে জঙ্গী লেবেল এঁটে সন্ত্রাস দমনের ধোঁয়া তুলছে। ওবামা আইএসকে (ইসলামিক এস্টেট) দমন করতে হামলা চালিয়েছেন। একশ’ দেশ এই হামলায় অংশ নেবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো আইএস দমনের নামে নির্বিচার বিমান হামলার ঘোষণা কি সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মধ্যে পড়ে না? মূলত অর্থ আর অস্ত্রের জোরে বিশ্বের মোড়ল খ্যাত আমেরিকা ও তার ধামাধরা দেশগুলোর নীতি নির্ধারকরা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বকে অস্থির করে তুলছে। তাদের সবচেয়ে বড় ভয় মুসলমানদের উত্থান। বর্তমানে বিশ্বে ১৬০ কোটি মুসলমানের বসবাস। পশ্চিমাদের অপরাজনীতি, বিধর্মপনা, বেলেল্লাপনা ও কূটকৌশলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে সেসব দেশে অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে কোরআন নিয়ে গবেষণা বাড়ছে। ইসলাম ধর্মের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে মানুষ ইসলামমুখি হচ্ছে; দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। আর শান্তির ধর্ম ইসলামের বদনাম করতে কাল্পনিক জঙ্গিবাদ দমনের নাম দিয়ে সাম্রাজ্যবাদীরা দেশে দেশে নির্মম হত্যা, ধ্বংস ও সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে।<br />
<br />
<br />
নভেম্বর মাসে আমেরিকার সিনেট নির্বাচন। দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে ওবামার জনপ্রিয়তা তলানীতি। সন্ত্রাস দমনের নামে বিশ্বের দেশে দেশে অকল্পনীয় সন্ত্রাস করে নিজ দেশের ভোটারদের বোঝাতে চাচ্ছে তারা দুর্বল নন। ব্রিটেনের ক্যামেরুন ভাল নেই। স্কটল্যা-ের নির্বাচনী ফলাফল মূলত তার পক্ষে যায়নি। পত্রিকায় খবর বের হয়েছে তিনি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে মাফ চাইবেন। ফ্রান্সের ওঁলাদের ব্যক্তিগত চারিত্রিক স্খলনে তার জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে এবং সে সব দেশের জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিতে তারা সন্ত্রাস দমন আর মানবাধিকার রক্ষার নামে মুসলিম নিধনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইরাকে আইএস কি একদিনই জন্ম নিয়েছে? শুধুমাত্র ইউরোপ থেকে তিন হাজারের বেশী তরুণ যুবক আইএস এ যোগ দিয়েছে। বলা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ধর্মান্তরিত মুসলমান। তারা উচ্চ শিক্ষিত এবং আমেরিকা ব্রিটেনের মানবাধিকারের নমুনা দেখেছেন। আমেরিকার শাসকদের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা এবং মানবাধিকারের নমুনা দেখে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে সে দেশের বিবেকবান মানুষও বিক্ষুব্ধ। তারা পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন। কেউ মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা ইসলামের প্রতি সহানুভূতিশীল হচ্ছেন। যেভাবে এই অগ্রগতি হচ্ছে তাতে ২০৪০ সালের পূর্বেই আমেরিকায় সাদা চামড়ার ইসলামবিদ্বেষীরা মাইনরিটি হয়ে যাবে। এ আশঙ্কা থেকে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সন্ত্রাস দমনের নামে। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট কি বলে? আমেরিকায় অপরাধ প্রবণতা বেশি এবং সেখানে প্রতিদিনই মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে। নিজের ঘর সামাল দেয়ার বদলে তারা ইরাক আক্রমণ করেছে। আফগানিস্তান দখল করেছে। বিশ্বের দেশে দেশে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে। ইয়েমেন, সোমালিয়া, লিবিয়া, মিসরে আগুন জ্বালিয়েছে। সিরিয়ায় ২ লক্ষাধিক মানুষ হত্যা ও নারী ধর্ষণ তাদের সংজ্ঞায় মানবাধিকার লংঘনের পর্যায়ে পড়ে না। কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে ইরাক দখল এবং সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি দেয়ার পর সে দেশে যে চরম মানবাধিকার লংঘন হয়েছে সে জন্য তাদের অনুশোচনা নেই। বীর আফগান জনগণের প্রতিরোধের কারণেই আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা পালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানেও একই অবস্থা। ভারতের জনগণের বিশাল অংশ মুসলমান। হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা যাওয়ার আগে মুসলমানদের ব্যাপারে তার ইতিবাচক বক্তব্য প্রদান করেছেন। এটি তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার নিদর্শন। জর্ডানে যারা ইরাক সিরিয়া থেকে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সংখ্যা জর্ডানের মূল জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। ইসলাম প্রেমী এবং মুসলমানের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে সেখানে বাড়ছে। অন্যদিকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী দেশগুলোতে সমাজ বলতে তেমন কিছু নেই। সমকামী মানসিকতা, সামাজিক অবক্ষয়, লাম্পট্য বেড়ে যাওয়ায় সাদা চামড়ার জনসংখ্যা দিন দিন কমছে। এসব দেখে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ যুবকরা ইসলামের ছায়াতলে আসছে দলে দলে। এরাই মূলত সামনের দিনগুলোতে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে। সিরিয়ার শিয়া-সুন্নি বিরোধ আমেরিকার নিজের প্রয়োজনে জিইয়ে রাখা প্রয়োজন। সে জন্য সেখানে আসাদ বাহিনীর হাতে দুই লক্ষাধিক মানুষ মারা গেলেও তারা মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। মাত্র ৭% শিয়া আল ওয়াইদ এ পর্যন্ত ২ লক্ষাধিক সুন্নীকে হত্যা করেছে। ৯৩ ভাগ মানুষকে এই সংখ্যালঘুরা যেভাবে জুলুম করছে তা সত্যিই বিস্ময়কর।<br />
<br />
<br />
ইরাকের আইএস ইস্যু রাজনৈতিক সংকট। সাম্রাজ্যবাদ সমর্থক মিডিয়ার খবর যদি সত্যি হয়, আইএস স্কুল পুড়িয়েছে, সাংবাদিকের শিরñেদ করেছে, এগুলো গর্হিত কাজ। সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু তাদের কি হঠাৎ করে আবির্ভাব ঘটেছে? তাদের নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে দিনের পর দিন। লাখ লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। লাখো মানুষকে বাস্তুহারা করা হয়েছে। এই যে জুলুম-নির্যাতন এবং মানবাধিকারের চরম লংঘন এসব সা¤্রাজ্যবাদীদের চোখে পড়েনি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ বাঁচার জন্য শেষ চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে- এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আইএস জুলুম-নির্যাতন সহ্যের এক পর্যায়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। ওবামার নেতৃত্বে ১শ দেশ অভিযান চালিয়ে তাদের হত্যা করা বৈধ সাব্যস্ত করেছে এটা কেমন মানবাধিকার। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের জন্য মার্কিনিদের দরদ যেন উথলে পড়ছে। অথচ আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত তিন হাজার মানুষ মারা গেছে; তাদের বাঁচানোর প্রয়োজন মনে করছে না।<br />
<br />
আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সারাবিশ্বের ১৬টি দেশে ১৫৬টি সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠনের খেতাব দিয়েছে। এ সব সংগঠনের অনেকগুলোই তারাই সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেদের স্বার্থে তাদের ব্যবহার করেছে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। যখন ওই সংগঠনগুলো সা¤্রাজ্যবাদীদের স্বার্থে আঘাত হানছে তখন সেগুলোকে সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে দমনের চেষ্টা করছে। মূলত আমেরিকা ও তার তাঁবেদার দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজেদের দেশের সংকট থেকে উত্তরণ এবং নিজেদের বাঁচানোর জন্য মাঝে মাঝে দেশে দেশে মুসলমানদের রক্ত ঝরানোর কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। জঙ্গির ধুয়া তুলে মুসলমানদের ওপর বোমা হামলা, বিমান হামলা করে মুসলিম নিধন করেন। বিশ্বের প্রভাবশালী মিডিয়াগুলো তাদের অধিনস্ত এবং অর্থে পরিচালিত হওয়ায় সেগুলো মিথ্যার বেসাতি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ ধরে এ নীতি চালিয়ে আসছে ইসলামবিদ্বেষীরা। আমরা সে ফাঁদে পা দেব কেন?<br />
<br />
<br />
আল কায়দার মুখপাত্র আয়মান আল জাওহিরির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো। সেখানে তিনি এশিয়ায় সংগঠনের শাখা স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। পশ্চিমারা ‘সর্প হইয়া দংশন করে ওঁঝা হয়ে ঝাড়ে’ এই তাদের দ্বিমুখী নীতি তাদের। জাওহিরির এ ঘোষণার সত্য-মিথ্যা নিরূপণ করা আমাদের পক্ষ্যে সত্যিই দুরূহ। এটি সরকারকেই নিরূপণ করতে হবে। এ ঘোষণার পর হঠাৎ করে বাংলাদেশে জঙ্গি গ্রেফতার শুরু হয়। যুগান্তরের খবরের শিরোনামটি প্রণিধানযোগ্য। তারা লিখেছে ‘কোথায় ছিল এতোদিন’। সত্যিই অবাক করা প্রশ্ন। কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বাংলা ভিশনের এক টকশোতে বলেছেন, বাংলাদেশে হঠাৎ হঠাৎ জঙ্গি আবিষ্কার করা হয়। ২০১০ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে হঠাৎ করে অস্ত্র উদ্ধার আর জঙ্গি গ্রেফতারের হিড়িক পড়েছিল। কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্রন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের আগে জঙ্গি ধরা শুরু হয়। আবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের আগেও অস্ত্র উদ্ধারের মহড়া হয়। আসিফ নজরুলের এ বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।<br />
<br />
বিশ্ব রাজনীতির বাইরে বাংলাদেশ নয়। ইসলামবিদ্বেষী সা¤্রাজ্যবাদীদের কূটচাল বাংলাদেশ নিয়েও দীর্ঘদিন থেকে চলছে। হঠাৎ করে কাউকে গ্রেফতার করে আইএস সদস্য হিসেবে প্রচার করা এবং চিন্তাভাবনা না করেই তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু হলেও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। পশ্চিমাদের অপপ্রচার এবং কিছু ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী জঙ্গিবাদের ধুঁয়া তুললেও এদেশে বাস্তবিকই জঙ্গিবাদ আছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে না।<br />
<br />
<br />
নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এবং তাৎক্ষণিক সুবিধার জন্য জঙ্গিবাদ রয়েছে বলে প্রচার করা হয়। তাহলে আখেরে নিজেদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমরা কি নিজেরাই দেশে রেড এলার্ট জারী করছি না? বাংলাটিম, আনসারুল্লা, হুজি, জেএমবি, আইএস সদস্য হিসেবে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের পিতা এবং পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তাদের সন্তানরা কখনোই জঙ্গী নয়। এমনকি একজন স্কুল শিক্ষক বলেছেন তার ছেলে খুবই ভীতু প্রকৃতির। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, তার ছেলে আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিং এ নিয়মিত যায়। সে কখনো জঙ্গি হতে পারে না। দু’জন পিতা বলেছেন, আমাদের ছেলেদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তাদের মুখে দাড়ি ছিল না। দীর্ঘদিন আটকের পর যখন জঙ্গি হিসেবে মিডিয়ার সামনে হাজির করা হয় তখন তাদের মুখে দাড়ি।<br />
<br />
আরেক বিচারপতি আব্দুস সালাম তার ছেলে গ্রেফতারের পর বলেছেন, গ্রেফতার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ছেলেকে জঙ্গি সাজানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য তরুণদের পরিবারের সদস্য ও তাদের পিতা-মাতা নিজেদের ছেলে জঙ্গি বা আইএস সদস্য এমন অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের মুক্তি দাবী করেছেন। এ সব শুনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, সকল অভিভাবকের কাছেই তাদের সন্তানরা নিরাপরাধ। কখন কে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তা অনেক অভিভাবকই জানেন না। যারা এখন দাবি করছেন তাদের ছেলে নিরপরাধ। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের গ্রেফতারের পর জঙ্গি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। একজন যুগ্ম সচিব ও একজন বিচারপতিও তার ছেলে জঙ্গি এমন খবরে বিস্মিত হয়েছে। আজ যে কর্মকর্তা ইসলামের প্রতি আসক্ত হওয়ায় তরুণদের গ্রেফতারের পর জঙ্গি পরিচয় দিচ্ছেন; কাল তার ছেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠবে না বা কেউ ষড়যন্ত্র করে এমন করবে না তার নিশ্চয়তা কী?<br />
<br />
<br />
মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে একমত হয়ে বিশ্বের বহুদেশ এখন আইএস দমনে নেমে পড়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলা, দ্বিমত প্রকাশ করা বা বিকল্প কোন চিন্তাভাবনা মনে হয়, অঘোষিতভাবেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কেউ আইএসের নামটি নিলেই তাকে বলা হচ্ছে জঙ্গি সন্ত্রাসী। এরি মধ্যে পশ্চিমা জগতে অনেক লেখক, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক যতটুকু স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ বা লেখালেখি করতে পারেন তার এক শতাংশও আরব বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সম্ভব হয় না। পশ্চিমাদের এ সৌন্দর্য্য অনুন্নত বিশ্বে ঢাকা পড়ে যায় গোলামি সূলভ মানসিকতার কালো ছায়ায়। ব্রিটেনের এমপি রুশনারা আলী শ্যাডো মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই নেত্রী মূলত ব্রিটেনের গণতন্ত্র থেকে শিক্ষা নিয়েছেন ও লন্ডনের জনমত, মুসলিম অনুভূতি এবং নিজ দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে গত রমজানে গাজায় ফিলিস্তিনি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছিলেন ব্রিটেনের সহকারী মন্ত্রী সাইয়েদা সাঈদা ওয়ার্সি। সাইয়েদা ওয়ার্সি ও রুশনারা আলী দু’জনেরই পদত্যাগের কারণ হচ্ছে, ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ ও প্রতিবাদ। ওয়ার্সি গাজা প্রশ্নে ব্রিটেনের অস্পষ্ট নীতি আর রুশনারা আইএস নিমূর্লের যুদ্ধে ব্রিটেনের যোগদানের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।<br />
<br />
ব্রিটেনের এ দুই তরুণী রাজনীতিকের মনোভাব যে গোটা বিশ্বের ন্যায়পন্থী নাগরিকদের চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন নয়, সেটাই বা কে বলবে? যে কোন ব্যানারে সংগ্রামরত মজলুম মানুষের ব্যাপারে বিশ্বের ক্ষমতাধরদের রীতি আচরণ ও কর্মপদ্ধতি কি এক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও সুচিন্তিত কর্মকৌশলই কি অধিক ফলপ্রসূ না? এ নিয়ে পলিসি গবেষকরা যদি নতুন করে চিন্তাভাবনা না করেন তাহলে জঙ্গিবাদ উগ্রবাদ শেষ না হয়ে বরং আরো ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। বিরোধ নিষ্পত্তি ও সংক্ষুব্ধ মানবগোষ্ঠীর প্রতিশোধ থেকে বাঁচার উপায় পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এভাবে বর্ণনা করেছেন, মন্দের প্রতিবিধান করো ভালো দিয়ে। এতে তোমার শত্রু পরিণত হবে ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে। আর শত্রুকে বন্ধুরূপে তারাই পায় যারা ধৈর্য ধারণ করেন এবং যার জন্য নির্ধারিত আছে উত্তম নিয়তি। পৃথিবীর দেশে দেশে ইসলামী জীবন সংস্কৃতি সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার উৎকর্ষ এবং শ্রেষ্ঠকে বিশ্বাসী লোকেরাই কি পশ্চিমাদের শত্রু? যদি তাই হয়, তাহলে বার বার বলতে হয় কেন যে, আমাদের যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, জিহাদিদের বিরুদ্ধে? যেখানেই যে অজুহাতেই লক্ষ লক্ষ লোক হত্যা করা হয়েছে তারা তো নিরীহ মুসলমান। বেসামরিক নারী-শিশু-বৃদ্ধ ও রুগীরাও তো রেহাই পায়নি। তাহলে এ ধরনের নীতির প্রতিক্রিয়ায় যদি দেশে দেশে তরুণেরা দুঃখ পায়, প্রভাবিত হয়, সমবেদনা বোধ করে তাহলে কি গ্রেফতার দমন-পীড়ন আর অপমানই এদের পাওনা? সাইবার মাদক ও নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে তো রাষ্ট্রপূর্ণ সচেতন হয় না। সা¤্রাজ্যবাদ, আগ্রাসন ও অব্যাহত জুলুম-নির্যাতন দেখে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তিরও মনস্তাত্তিক সাপোর্ট, মটিভেশন এবং আদর্শিক শিক্ষা প্রয়োজন। বিগত দিনগুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বিজ্ঞোচিত ব্যবস্থাই পছন্দ করে এসেছেন। সাজানো মামলা বা আরোপিত ধারায় ছাত্র, তরুণ কিংবা সাধারণ মানুষকে ধরে মারাত্মক সন্ত্রাসী, জঙ্গি, তালিবান, আইএস ইত্যাদি বলে প্রচার করা সমাজের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। এক্ষেত্রে বরং ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম-ওলামা ও অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠনকে মটিভেশনের কাজে লাগালে ফল ভালো হবে। অভিযুক্ত লোকেদের নিজ বাবা-মা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সাথে রেখে তাদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সমম্বয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি বাস্তবসম্মত কর্মকৌশল গ্রহণ করলে উগ্রবাদ মোকাবেলা সহজ হবে।<br />
<br />
বর্তমানে দেশের ঘরে ঘরে আতঙ্ক। যেখানে সেখানে যখন তখন যাকে তাকে গ্রেফতারের পর জঙ্গি পরিচয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আলেম ওলামা ধর্মীয় পোশাকধারী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কর্মকর্তা ও শিক্ষিত লোকজন এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন। যারা ধর্মকর্ম নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন এবং মাদ্রাসা মসজিদের সঙ্গে জড়িত সেসব নাগরিক চরম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন। খুশির কথা বলো দেশের তরুণ এবং শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন আসছে। সমাজে যখন উৎশৃংখলতা, আকাশ সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চর্চার নামে বেলেল্লাপনা এবং সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপাচার ঢুকে পড়েছে; তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এবং যুবকদের মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন আসছে। তারা ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হচ্ছে এবং ইসলামের অনুশাসন মেনে জীবন পরিচালনায় উৎসাহী হচ্ছে। যারা ইসলামের দীক্ষায় এবং দ্বীনি পথে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করছেন তাদের জজ মিয়া বানিয়ে নাটক করা কখনোই সমর্থন যোগ্য হতে পারে না। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে এধরনের চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে এসে দেশকে প্রকৃত অর্থে অপরাধ ও সন্ত্রাস মুক্ত করা উচিত। আমি এমনও খবর পেয়েছি অনেক মাদ্রাসার ছাত্র গ্রেফতারের ভয়ে পায়জামা-পাঞ্জাবী, টুপি-পাগড়ী পড়িধান না করে কলেজ পড়–য়া ছাত্রের মতো শ্যাট-প্যান্ট পরে বের হচ্ছে। দেশে যে সংখ্যায় তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করছে এবং জীবনধারাকে গড্ডালিকায় না ভাসিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে; তার চেয়ে শতগুণ বেশি তরুণ-তরুণী নানা ধরনের সাইবার ক্রাইম ও ড্রাগে আসক্ত হয়েছে। যাদের মাদকমুক্ত করে সমাজে সুনাগরিক করার চেয়ে ইসলামের প্রতি আসক্তদের গ্রেফতার করে জঙ্গি তকমা দেয়ার প্রতি অধিক মনোনিবেশ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হতে পারে না। এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, বিনিয়োগ, পর্যটন, সুনাম ইত্যাদি সবই বিশ্বদরবারে সংকটের সম্মুখিন হবে। <br />
<br />
<br />
অতি উৎসাহী কিছু লোকের এসব প্রয়াস অতীতেও ছিল, ক্ষতি ছাড়া লাভ হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর কী হয়েছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। অতএব সবার উচিত যথাযথভাবে কাজ করা।<br />
কারো ছেলে যদি সত্যি সত্যি উগ্রবাদী হয়ে যায় এবং কারো স্কুল পড়–য়া ছেলে-মেয়ে যদি অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে তাদের পিতামাতার হাতে তুলে দেয়াই অধিক ফলপ্রসু। তারা যাতে ভাল হয়ে যায় সে প্রতিশ্রুতি নেন এবং ওইসব পিতামাতার প্রতি আস্থা রাখুন। দেখবেন এক সময় তারা ভাল হয়ে গেছে। আমার মনে হয় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ইসলামী তাত্ত্বিক ও বিশেষজ্ঞ লোক নেই। আমেরিকা আর ভারতে ট্রেনিং নিলে সেটা থাকার কথা নয়। ওইসব দেশে ট্রেনিং নিয়ে এসে কিছু লোকের স্বদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদীদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগের প্রচারণায় আমাদের দেশের অনেকেরই মধ্যে ইসলামবিদ্বেষী প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যাতে ওইসব দেশের ফাঁদে পা দিয়ে আমাদের সবুজ-শ্যামল দেশকে বিদেশিদের চারণভূমি না বানিয়ে ফেলি, সে বিষয়টি চিন্তায় আনা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইরাকে যারা এখন আইএস সদস্য, তারাই নিরীহ নাগরিক বাথ পার্টির লোকজন, তারা সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। ২০০৩ সালের পর তারা কঠোর হন এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেন। আমার বিশ্বাস, মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ভোটের বৈতরণী পার হতে বর্তমানে যে কৌশল নিয়েছেন নভেম্বরে ভোটের পর তার পরিবর্তন ঘটবে। তারা বিশ্বের মুসলমানদের ভীত সন্ত্রস্ত্র করে ভয় পাইয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিন্তাশীল মানুষ। তিনি অবশ্যই বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখবেন। কারণ বর্তমানে যারা নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের মধ্যে এমন চিন্তাশীল এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ আর আমার নজরে পড়ে না। কেউ যদি ইসলামী ধ্যান-ধারণার মধ্যে থেকে জঙ্গিবাদী কর্মকা-ে নিজেকে জড়ায় তাদের বোঝাতে হবে মূলত উগ্রাবাদ ও জঙ্গিবাদ কখনো ইসলামের বন্ধু হতে পারে না। ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। অহেতুক ভয় দেখিয়ে ইসলামের প্রতি অনুরক্ত মানুষ এবং তরুণ যুবকদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা উচিত নয়। বাংলাদেশ অনেক বড় দেশ। এদেশের মুসলমানরা কখনোই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করেছে।<br />
<br />
ইসলামে উগ্রবাদ নেই, তবে দ্বীন, ঈমান ও ইসলামী মূল্যবোধের ব্যাপারে কোনো আপোষও নেই।<br />
<br />
<br />
লিখেছেনঃ এ এম এম বাহাউদ্দীন<br />
প্রকাশিতঃ ইনকিলাব, অনলাইন সংস্করণ<span style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 16px; line-height: 22px;"> রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪</span></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-37386994153891065022014-03-27T15:04:00.000+06:002014-03-27T15:04:12.179+06:00পৃথক পাহাড় – হেলাল হাফিজ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আমি আর কতোটুকু পারি ?<br />
<br />
কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,<br />
আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়।<br />
<br />
ওইটুকু নিয়ে তুমি বড় হও,<br />
বড় হতে হতে কিছু নত হও<br />
নত হতে হতে হবে পৃথক পাহাড়,<br />
মাটি ও মানুষ পাবে, পেয়ে যাবে ধ্রুপদী আকাশ।<br />
<br />
আমি আর কতোটুকু পারি ?<br />
এর বেশি পারেনি মানুষ</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-12482855926719431712014-02-16T15:39:00.001+06:002014-02-16T15:39:39.164+06:00আপনার কি নামাযে মন বসেনা?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
নামাযে মন না বসার এক নাম্বার কারণ হলো নামাযে আপনার খুশু ও খুযু (ভয় ও বিনয়) নেই।অথচ, খুশু ও খুজু সহ নামায পড়া “ফরয”।<br /><br />
নামাযে খুশু ও খুযু অর্জন করার অনেকগুলো উপায় আছে।<br /><br />তার মধ্যে একটা হলো, আপনি যখন নামায শুরু করবেন তখন এমনভাবে দাঁড়াবেন যেনো আপনি আল্লাহ্কে দেখতে পাচ্ছেন।যদি এই অনুভূতি আনতে না পারেন তাহলে অন্তত মনে মনে এই ধারণা রাখবেন, অবশ্যই আল্লাহ্ আপনাকে দেখতে পাচ্ছেন। একে বলা হয় “ইহসান” – ইবাদত এমনভাবে করা যেনো আপনি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছেন।<br /><br />দ্বিতীয় এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে – আপনি নামাযে যা কিছু পড়ছেন, তাসবীহ, তাহলীল, দুয়া, সুরা, ক্বিরাত – যাই পড়েন না কেনো বা রুকু সেজদা যাই করেন না কেনো – মনোযোগের সহিত করবেন। এমন যেনো না হয় – মন্ত্রের মতো পড়ে গেলেন আর যন্ত্রের মতো কাজগুলো আদায় করে গেলেন। অথচ আপনার মন পড়ে রয়েছে অন্য দিকে যেমনঃ<br />আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কত রান করলো, কে কয়টা গোল দিলো, ব্যবসা ভালো না মন্দ যাচ্ছে, কেনাবেচা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, আড্ডা, বন্ধু বা নাটক সিনেমা, সিরিয়ালের কোন চরিত্র কি করছে ইত্যাদি। আর তখন দেখবেন, নামায কয় রাকাত করেছেন কিনা মনে করতে পারছেন না, সিজদা ২-৩ বার করে ফেলবেন।<br /><br />আপনি যখন “আল্লাহু আকবার” বা আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ বলবেন তখন, যেনো এর অর্থের দিলে লক্ষ্য রেখে, অন্তরে আল্লাহর প্রতি সম্মান, ভয় ও ভালোবাসা রেখে সেটা বলবেন, বলার মধ্যে যেনো দায়সারা ভাব না থাকে।<br /><br />রুকু যখন করবেন, সিজদা যখন করবেন – শরীর ও অংগ প্রত্যংগের মাঝে ভয় বিনয় ও নিজেকে আল্লাহর সামনে নত করার উদ্দেশ্যে করছেন – এই কথা মাথায় রেখে করবেন।<br /><br />আর যেই দুয়া ও সুরা পড়ছেন, সেইগুলোর অর্থ বুঝে বুঝে সেই অনুযায়ী তেলাওয়াত করবেন বা বলবেন। যা বলছেন সেইগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে বলবেন – তোতাপাখির মতো মন্ত্র জপ করবেন না।<br /><br /><br />ছোটোবেলার মতো নোট করে সূরার অর্থগুলো মুখস্থ করুন। এতে আপনার সুরার অর্থটা যেমন জানা হলো, আর ভবিষ্যতে যখন নামাযে তেলাওয়াত করবেন – তখন প্রত্যেকটা ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড চিন্তা ভাবনা করে, বুঝে তেলাওয়াত করবেন। এইভাবে প্রত্যেকটা বিষয় যখন আপনি বুঝে শুনে বলবেন, যা বলছেন এবং যা করছেন সেই দিকে মনোযোগ দিয়ে করবেন – তখন দেখবেন মন অন্য দিকে যাবেই না বা গেলেও সাথে সাথে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা কঠিন হবেনা</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-35729049618741336952014-01-16T03:52:00.000+06:002014-01-16T03:52:20.986+06:00সাতক্ষীরা অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীঃ ফাঁস হওয়া প্রমানাদি নিয়ে তোলপাড়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর নামে ভারতীয় বাহিনী অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, এমন কিছু প্রমান ফাঁস হওয়ার পর ইন্টারনেট জগতে চলছে তোলপাড়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে ফাঁস হওয়া গোপন বার্তায় বেরিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসের অনুরোধে সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাজনৈতিক দমন-পীড়নে ও গণহত্যায় সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী ও বিএসএফ।<br />
<br />
চলমান রাজনৈতিক সংকটে ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই বার্তায় দেখা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩৩তম কোরের ১৭তম, ২০তম ও ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশান, এবং বিএসএফ।<br />
<br />
ফাঁস হওয়া বার্তাগুলো দেখুন,<br />
<br />
দলিল গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,<br />
২০১৩ নভেম্বরের ৭ তারিখে ইস্যু করা চিঠি পাঠিয়েছেন তৌফিক ইসলাম শাতিল। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখা যায় তিনি ২০১২ অগাষ্টে জর্ডানে বাংলাদেশ দুতাবাসের হেড অফ কনসাল ছিলেন। জর্ডানে ২৫ জন বাংলাদেশী নারী শ্রমিক অপহরণ ধর্ষণ ও গুম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি পত্রপত্রিকার সাথে কথা বলেছিলেন। এছাড়াও জর্ডানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ যখন বাংলাদেশী দুতাবাসে কর্মরত এক জর্ডানী মেয়েকে যৌন হয়রানি করে, তখন শাতিল ছিলেন ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এবং তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<br />
চিঠির আরেকজন হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম।দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি ৬.৯.১১ তারিখে সামরিক বাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। ইন্ডিয়ায় তার অফিসের ফোন নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানাও দেয়া আছে। ঐ অফিসে তার সহকারীর নাম ল্যাফটেনান্ট কর্ণেল ফখরুল আহসান।<br />
<br />
যোগাযোগের আরেকজন হলেন হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদ। সবচেয়ে জুনিয়র এই ঘটনায়, এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। এডমিন ক্যাডারে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে জয়েন করেছিলৈা, পরে পররাষ্ট্রে আসে। সউদী আরবে ছিলো ছয়মাস। রেডিও আমার এর আরজে হিসেবেও কাজ করেছিলো। ঢাবি থেকে ২০১০ এ ফার্মেসিতে পাস করে।<br />
<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjekxiueiT_a0H9vPU2-vG97i1rvs1qNsJLrKCXpcT6k4swtaISmq9irTs0mxTnnrQPxPCyBvafcfboKuO3YAEYvpwrZ65fXwj6L4c82e0Hzi4YMSvN46vJn3EfDzO-rv-5lzqz6BwQ8w/s1600/1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjekxiueiT_a0H9vPU2-vG97i1rvs1qNsJLrKCXpcT6k4swtaISmq9irTs0mxTnnrQPxPCyBvafcfboKuO3YAEYvpwrZ65fXwj6L4c82e0Hzi4YMSvN46vJn3EfDzO-rv-5lzqz6BwQ8w/s1600/1.jpg" height="640" width="484" /></a></div>
<br />
<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZi0enHupY-ApQ3KA-VwzLRNUhSmqMKNIFU9tT37LBUgkFsCz_JmW41egjGN4wu-wGpgmaBJPFsC0qh8bvVWgt2Hv0RMU6AqeSgOnt9lgQG6f2XYpVvUCjqfsRMh8ErsmoDh-MTzT6E58/s1600/2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZi0enHupY-ApQ3KA-VwzLRNUhSmqMKNIFU9tT37LBUgkFsCz_JmW41egjGN4wu-wGpgmaBJPFsC0qh8bvVWgt2Hv0RMU6AqeSgOnt9lgQG6f2XYpVvUCjqfsRMh8ErsmoDh-MTzT6E58/s1600/2.jpg" height="640" width="484" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjvnEzvJFlq2kjBIFGo-FKxh5fc9iKl2v_14hSkrPQacMj7TCss5pRdBpwiiLhYTlm46812WJU5sK8mE7boMrJ6L166PmhdM8RhvVhCDZBhROobK842cgXYen91SeKbs-QRL-ZTGwz0l64/s1600/3.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjvnEzvJFlq2kjBIFGo-FKxh5fc9iKl2v_14hSkrPQacMj7TCss5pRdBpwiiLhYTlm46812WJU5sK8mE7boMrJ6L166PmhdM8RhvVhCDZBhROobK842cgXYen91SeKbs-QRL-ZTGwz0l64/s1600/3.jpg" height="640" width="472" /></a></div>
<br /></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-51933988719848481952013-12-31T10:45:00.000+06:002013-12-31T10:45:12.918+06:00সিকিমের ইতিহাস ও RAW : The Story of India's Secret Service<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সাল।সিকিমের সকালটা ছিল অন্য রকম। পাঁচ হাজার ভারতীয় সৈন্য নিয়ে মিলিটারি কনভয় ঢুকে পড়ে রাজধানী গ্যাংটকে। রোদেলা দিনের শুরুতে এই পাহাড়ি শহরে সে দিনও ফুটেছিল রডোডেন ড্রনসহ নানা বর্ণের ফুল। রাজা পালডেন ও সিকিমবাসীর জন্য সেটাই ছিল স্বাধীন রাজ্যের শেষ দিবস। এটা তারা বুঝতে পারেন যখন ভারতীয় সৈন্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপ্রাসাদ ঘেরাও করে মেশিনগান দিয়ে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ শুরু করে। তারপর সিকিমের পতাকা নামিয়ে তিন রঙা ভারতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন।<br />
<br />
কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।সিকিমকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা লেন্দুপ দর্জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে মাতৃভূমির স্বাধীনতা ভারতের হাতে তুলে দেয়ার জন্য তিনি এক অভিশপ্ত জীবন বয়ে বেড়িয়েছেন। সিকিমে তার ঠাঁই হয়নি। রাজনীতি থেকে তাকে বিদায় করা হয়। শেষজীবন কাটে প্রতিবেশী দার্জিলিংয়ের (পশ্চিমবঙ্গ) কালিমপাং শহরে। একাকী, নিঃসঙ্গ, নিন্দিত ও ভীত সন্ত্রস্ত্র এক জীবনযাপন শেষে লেন্দুপ দর্জি নীরবে মৃত্যুবরণ করেন।<br />
<br />
নাটের গুরুরা পেছন থেকে সব কলকাঠি নাড়েন। নিজের দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকদের নাম কখনো হয় মীরজাফর, কখনো লেন্দুপ দর্জি, কখনো বা অন্য কিছু। দেশ ও কালের তফাৎ হয় কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য শাস্তি এদের পেতেই হয়।<br />
<br />
<br />
সিকিম ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম রাজ্য। আয়তন ৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী লোকসংখ্যা ৬,০৭,০০০ জন। সিকিমের ভূ-কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যের উত্তরে চীন, পশ্চিমে নেপাল, পূর্বে ভূটান ও দক্ষিণে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং। সিকিম-তিববত (চীন) বাণিজ্যপথ ‘না থুলা পাস’ আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বহন করে। সামরিক গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর সিকিমের কাছেই। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে সিকিমের অবস্থান। ঢাকা থেকে সড়ক পথে রাজধানী গ্যাংটকের দূরত্ব ৬৫৪ কিলোমিটার।<br />
<br />
লেন্দুপ দর্জি ও সিকিম ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের বিদায়ের পর মনিপুর, ত্রিপুরা, কুচবিহারসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদান করে অথবা যোগদানে বাধ্য করা হয়। সিকিম রাজ্যেও তার ঢেউ লাগে। নয়াদিল্লির পরামর্শে গঠিত হয় সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি)। আত্মপ্রকাশের পরই এসএনসি সিকিমে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করতে থাকে।<br />
<br />
সিকিমের রাজা (চগিয়াল) পালজেন থনডাপ নামগিয়াল বিক্ষোভ সামাল দিতে প্রাথমিকভাবে সমর্থ হন।লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বে আন্দোলন জওয়াহের লাল নেহরুর মৃত্যুর পর লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্বল্পকালের (১৯৬৪-৬৬) জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। শাস্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুর পর ১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এরপর থেকে সিকিমে যে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়, সেখান থেকে এই হিমালয়ান রাজ্যটি আর বেরিয়ে আসতে পারেনি।<br />
<br />
১৯৭৩ সালে এসএনসি লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বে চগিয়ালবিরোধী আন্দোলন শুরু করে, যা শেষ পর্যন্ত এই সার্বভৌম রাজ্যের ভারতে বিলীন হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।<br />
<br />
ভারতীয়রা সাদা পোশাকে সিকিমে ঢুকে বিক্ষোভে যোগ দিত। সিকিমের বৌদ্ধ রাজার বিরুদ্ধে পরিচালিত এসএনসির আন্দোলনকে ভারত খোলাখুলি সমর্থন জানায়। চগিয়ালের তৎকালীন এডিসি ক্যাপ্টেন সোনাম ইয়াংদা দাবি করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে সিকিমে ঢুকে এসব বিক্ষোভে অংশ নিত। দার্জিলিংসহ আশপাশের ভারতীয় এলাকা থেকে লোক এনে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হতো। এসব আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় সিকিমিদের সংখ্যা ছিল খুব কম।<br />
<br />
ক্যাপ্টেন সোনামের ভাষ্য অনুযায়ী লেন্দুপ দর্জির আন্দোলনে ভারত আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করত।<br />
<br />
দর্জি স্বীকার করেছেন, ভারতীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) কর্মকর্তারা বছরে দুই থেকে তিনবার তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন। আইবি এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগতভাবে দর্জির কাছে টাকা হস্তান্তর করতেন।মুখ্য ভূমিকায় ‘র’ ‘মিশন সিকিম’ এর পেছনে মুখ্য ভূমিকায় ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW)।<br />
<br />
<br />
১৯৬৮ সালে আত্মপ্রকাশের তিন বছরের মাথায় ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ‘র’ সাফল্য পায়। সিকিমের ভারতে অন্তর্ভুক্তি ‘র’ এর একটি ঐতিহাসিক সাফল্য।‘র’ দু’বছর সময় নেয় সিকিমে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ।ভুটান ১৯৬৮ সালে জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়। সিকিমের ব্যাপারে ‘র’ এর কুশীলবরা তাই আগাম সতর্ক পদক্ষেপ নিতে ভুল করেননি।<br />
<br />
এ সম্পর্কে অশোক রায়না তার গ্রন্থ RAW : The Story of India's Secret Service এ লিখেছেন, নয়াদিল্লি ১৯৭১ সালেই সিকিম দখল করতে চেয়েছিল। ‘র’ দুই বছর সময় নেয় সিকিমে একটি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য। এ ক্ষেত্রে নেপালী বংশোদ্ভূত হিন্দু ধর্মাবলম্বী সিকিমি নাগরিকদের ক্ষোভকে ব্যবহার করা হয়। তাদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ ছিল, সিকিমের বৌদ্ধ রাজা স্থানীয় নেপালী হিন্দু প্রজাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন।<br />
<br />
গ্যাংটক টাইমস পত্রিকার সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সিডি রাই এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, সিকিম রাজার বৈষম্যমূলক শাসনের চাইতে ভারতীয় নাগরিক হওয়া ভালো।’<br />
<br />
ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লির চাপ কাজী পরিবারের সন্তান লেন্দুপ দর্জির সাথে সিকিমের রাজপরিবারের দ্বন্দ ছিল বহু দিনের পুরনো। দর্জি অভিযোগ করেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, গণবিক্ষোভের মাধ্যমে চগিয়ালের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। কিন্তু রাজা কখনোই তা কর্ণপাত করেননি। নয়াদিল্লি থেকে সিকিমের রাজাকে বারবার চাপ দেয়া হয় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য। এই তিনপক্ষ হচ্ছে : সিকিম রাজ, এসএনসি ও ভারত। চাপের মুখে রাজা বৈঠকে বসতে বাধ্য হন। এ ধরনের বৈঠক সিকিমের রাজার সার্বভৌম ক্ষমতাকে খর্ব করে। সিকিম কার্যত ভারতের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়।এসএনসির সরকার গঠন রাজতন্ত্র বিলোপের সিদ্ধান্ত এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৪ সালে সিকিমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। লেন্দুপ দর্জির এসএনসি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। রাজতন্ত্র তখনো বহাল কিন্তু রাজা ও সরকার পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে। রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ একটি পরিণতির দিকে এগোতে থাকে।<br />
<br />
<br />
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিকিমের রাজতন্ত্র বিলোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পার্লামেন্ট এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। রাজতন্ত্রের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য গণভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চার দিন পর ৫৭টি কেন্দ্রে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।<br />
<br />
কারচুপির গণভোট : রাজতন্ত্র বিলুপ্ত সিকিমের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী কে সি প্রধান গণভোটের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘গণভোট ছিল একটা বাধা মাত্র। ভারতীয় সৈন্যরা ভোটারদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে। গণভোটের ফলাফল দাঁড়ায় সিকিমে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি। এরপর প্রধানমন্ত্রী লেন্দুপ দর্জি পার্লামেন্টে সিকিমের ভারতে যোগদানের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন।সিকিমের পার্লামেন্টে ভারতে যোগদানের প্রস্তাব পাস সিকিমের ৩২ আসনের পার্লামেন্টে ৩১ জনই ছিল লেন্দুপ দর্জির এসএনসির সদস্য। প্রস্তাবটি সংসদে বিনা বাধায় পাস হয়।<br />
<br />
<br />
সিকিমে কর্মরত তৎকালীন ভারতীয় দূত (পলিটিক্যাল অফিসার) বিএস দাস তার গ্রন্থ 'The Sikkim Saga' এ লিখেছেন, ‘ভারতের জাতীয় স্বার্থেই সিকিমের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন ছিল। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করেছি। চগিয়াল যদি বিচক্ষণ হতেন এবং তার কার্ডগুলো ভালোভাবে খেলতে পারতেন, তাহলে ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তা না হয়ে ভিন্ন কিছু হতে পারতো।’<br />
<br />
চীন, নেপাল ও পাকিস্তানের পরামর্শে কান দেননি সিকিমের চগিয়াল । ১৯৭৪ সালে যখন সিকিমে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা চগিয়াল তখন কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন নেপালের রাজা বীরেন্দ্রর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাজা বীরেন্দ্র, সফররত চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী চেন লাই ইয়ান এবং পাকিস্তানি দূত চগিয়ালকে সিকিমে না ফিরতে পরামর্শ দেন।<br />
<br />
ক্যাপ্টেন সোনাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এই তিন দেশের নেতৃবৃন্দ সিকিমকে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে একটি মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করেন। কিন্তু চগিয়াল লামদেন তাতে সম্মতি দেননি। এর কারণ তিনি নাকি স্বপ্নেও ভাবেননি, ভারত সিকিম দখল করে নিতে পারে। ভারতের দ্বৈত ভূমিকাভারত এ ক্ষেত্রে দ্বৈত খেলা খেলেছে। এক দিকে চগিয়াল লামডেনকে বলেছে, সিকিমে রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে। অপর দিকে লেন্দুপ দর্জিকে বলেছে যেকোনো মূল্যে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করতে হবে।<br />
<br />
চগিয়ালকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনারারি মেজর জেনারেল পদবিও প্রদান করা হয়েছিল।<br />
<br />
সিকিম দখল ভারতীয় সেনাদের মুহুর্মুহু গুলি : রাজপ্রাসাদের প্রহরী বসন্তকুমার ছেত্রি নিহত হন। প্রকাশ্য দিবালোকে সামরিক ট্রাকের গর্জন শুনে সিকিমের চগিয়াল দৌড়ে এসে দাঁড়ান জানালার পাশে। ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ ঘিরে ফেলে। মেশিনগানের মুহুর্মুহু গুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাজপ্রাসাদের ১৯ বছর বয়সী প্রহরী বসন্ত কুমার ছেত্রি ভারতীয় সেনাদের গুলিতে নিহত হন। আধা ঘণ্টার অপারেশনেই ২৪৩ প্রহরী আত্মসমর্পণ করে। বেলা পৌনে ১টার মধ্যেই অপারেশন সিকিম সমাপ্ত হয়।<br />
<br />
সিকিম প্রহরীদের কাছে যে অস্ত্র ছিল তা দিয়ে ভারতীয় সৈন্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সময় লড়াই করা যেত। কিন্তু রাজা ভুগছিলেন সিদ্ধান্তহীনতায়। তিনি আরেকটি সুযোগ হারালেন। রাজাপ্রসাদে ট্রান্সমিটার বসানো ছিল, যাতে বেইজিং ও ইসলামাবাদের কাছে তিনি জরুরি সাহায্য চাইতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চীনা সৈন্যরা প্রয়োজনে সিকিমে ঢুকে চগিয়াল লামডেনকে উদ্ধার করতে পারত। কিন্তু রাজা সেটাও করতে ব্যর্থ হন।<br />
<br />
প্রহরীরা তখনো গাইছিল ‘আমার প্রিয় মাতৃভূমি ফুলের মতো ফুটে থাকুক’আত্মসমর্পণকারী রাজ প্রহরীদের ভারতীয় সেনাদের ট্রাকে তোলা হয়। প্রহরীরা তখনো গাইছিল ‘ডেলা সিল লাই গি, গ্যাং চাংকা সিবো’ (আমার প্রিয় মাতৃভূমি ফুলের মতো ফুটে থাকুক)।<br />
কিন্তু ততক্ষণে সিকিমের রাজপ্রাসাদে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে তিনরঙা ভারতীয় জাতীয় পতাকা।<br />
<br />
নামগিয়াল সাম্রাজ্যের ১২তম রাজা চগিয়াল লামডেন তখন প্রাসাদে বন্দী। চগিয়াল ভারতীয় নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে করম চাঁদ গান্ধী ও জওহর লাল নেহরুর প্রতি ছিলেন খুবই শ্রদ্ধাশীল।বন্দুক দিয়ে মাছি মারা ১৯৬০ সালে নেহরু ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারকে বলেছিলেন, সিকিমের মতো একটি ছোট দেশকে জোর করে অধিকার করা হবে বন্দুক দিয়ে মাছি মারার মতো ঘটনা। কিন্তু এটাই সত্য যে, নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী সিকিম দখলের মধ্যে ‘জাতীয় স্বার্থ’ খুঁজে পেয়েছিলেন।<br />
<br />
দুই বিদেশিনী সিকিমের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বি বি গুরুং একবার বলেছিলেন, চগিয়াল লামডেন ও লেন্দুপ দর্জি মূলত একটি প্রক্সি যুদ্ধ করেছেন। প্রকৃত যুদ্ধ ছিল এক আমেরিকান ললনার সাথে এক বেলজিয়াম ললনার। কিন্তু যুদ্ধে জয়ী হলেন এক তৃতীয় নারী। তিনি হলেন ইন্দিরা গান্ধী।<br />
<br />
<br />
<br />
হোপ কুক: সিকিম রাজা চগিয়াল পালডেন ১৯৬৩ সালে আমেরিকান কন্যা হোপ কুকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পরিচয় হয়েছিল দার্জিলিংয়ে। সিকিমের রানী হওয়া কুকের জন্য ছিল এক বিরাট স্বপ্নপূরণ। বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিবেশ তিনি সিকিমের স্বাধীনতা রক্ষার বানী যুবসমাজের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন।<br />
<br />
আন্তর্জাতিক স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি হোপ কুকের তৎপরতার পেছনে সিআইএর হাত আছে বলে সন্দেহ করে। তাকে সিআইএর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মার্কিন কন্যার সাথে নয়াদিল্লির সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। চগিয়াল পালডেনের সাথেও তার দাম্পত্য সম্পর্কে ফাটল ধরে। ১৯৭৩ সালে হোপ কুক তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিউ ইয়র্কে চলে যান। তিনি আর কখনোই সিকিমে ফিরে আসেননি।<br />
<br />
<br />
<br />
এলিসা মারিয়া : ১৯৫৭ সালে কাজী লেন্দুপ দর্জি বিয়ে করেন এলিসা মারিয়াকে। তাদের পরিচয় হয় নয়াদিল্লিতে। এলিসার পিতা একজন বেলজীয় ও মা জার্মান। এলিসা তার স্কটিশ স্বামীকে ত্যাগ করে বার্মা থেকে নয়াদিল্লিতে চলে এসেছিলেন। সিকিমের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এলিসা মারিয়া ও হোপ কুক মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যান। এলিসা চাচ্ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে ফার্স্ট লেডি হতে। অপর দিকে হোপ কুক চেয়েছিলেন স্বাধীন সিকিমের রানী হতে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে দুই বিদেশিনীর প্রত্যাশার বিপরীত।<br />
<br />
কালিমপঙে নির্জনবাস গণরোষ আতঙ্ক :শেষ জীবনে নানা রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পান লেন্দুপ দর্জি। তা সত্ত্বেও স্ত্রী এলিসাকে নিয়ে সিকিম ছেড়ে দার্জিলিংয়ের কালিমপং শহরে নির্জনবাসে চলে যেতে বাধ্য হন। তারা তাদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত জীবনযাপন করতে থাকেন। এলিসা ১৯৯০ সালে পরলোক গমন করেন।<br />
<br />
এরপর থেকে লেন্দুপ দর্জি একা জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। তাদের কোনো সন্তান-সন্ততি ছিল না। আত্মীয়স্বজনও তাকে দেখতে যেত না। গণরোষ ও মানুষের ঘৃণা থেকে বাঁচতে লেন্দুপ দর্জি নিজেকে সবার কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেন।<br />
<br />
<br />
<br />
চীন সীমান্তে ৩ স্বাধীন রাষ্ট্র নয়াদিল্লির জন্য অস্বস্তিকর ছিল<br />
<br />
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও ১৯৭৪ সালে ভারতের পারমাণবিক বোমার সফল বিস্ফোরণ ইন্দিরা গান্ধীর আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। কংগ্রেস নেত্রী নয়াদিল্লিতে তার ক্ষমতাকে সুসংহত করেন। পূর্বাঞ্চলীয় দ্রু রাজ্যে সিকিমের ওপর তার নজর পড়ে। নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন ছিল সিকিমের স্বাধীন সত্তার বিকাশ নিয়ে। ভুটানের পথ ধরে সিকিম যদি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদ লাভ করে ফেলত, তাহলে তা হতো নয়াদিল্লির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বড় রকম বাধা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীন সীমান্তে তিন হিমালয়ান স্বাধীন রাজ্য নেপাল, সিকিম ও ভুটান গায়ে গা লাগিয়ে অবস্থান করুক এটাও কৌশলগত কারণে দিল্লি নিরাপদ মনে করেনি।<br />
<br />
<br />
ম্যাগাজিন ও নেপালি টাইমস অবলম্বনে-লেখক : সাংবাদিক আলম মাসুদ</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-71722273804594466852013-12-30T00:14:00.000+06:002013-12-30T00:14:51.333+06:00কে এই নেন্দুপ দর্জি ??<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া আজ পুলিশ ও সরকারকে নেন্দুপ দর্জির ইতিহাস পড়তে বলেছেন।<br />
আসুন আমরা জেনে নেই কে এই নেন্দুপ দর্জি ??<br />
<br />
সিকিম ভারতের উত্তরাংশে অবস্থিত তিব্বতের পাশের একটি রাজ্য। রাজ্যটির স্বাধীন রাজাদের বলা হত চোগওয়াল। ভারতে বৃটিশ শাসন শুরুর পুর্বে সিকিম তার পার্শ্ববর্তী নেপাল আর ভুটানের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। বৃটিশরা আসার পর তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নেপালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সিকিম। এসময় রাজা ছিলেন নামগয়াল।কিন্তু বৃটিশরা তিব্বতে যাওয়ার জন্য এক সময় সিকিম দখল করে নেয় এবং ১৮৮৮ সালে রাজা নামগয়াল আলোচনার জন্য কলকাতা গেলে তাঁকে বন্দী করা হয়।<br />
<br />
পরবর্তী সময়ে ১৮৯২ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং সিকিমের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়া হয়।<br />
প্রিন্স চার্লস ১৯০৫ সালে ভারত সফরে আসলে সিকিমের চোগওয়ালকে রাজার সম্মান দেয়া হয়। চোগওয়ালপুত্র সিডকং টুলকুকে অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করতে পাঠানো হয়।টুলকু নামগয়াল মতায় বসে সিকিমের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। বৃটিশের কাছে সিকিম তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে।<br />
পরবর্তী চোগওয়াল (রাজা) থাসী নামগয়ালের সময়ে বৃটিশরা ভারত ছেড়ে গেলে গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রায় দেয় এবং ভারতের পন্ডিত নেহরু সিকিমকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হন।<br />
<br />
১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর সিকিমের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে থাসী নামগয়াল এবং ১৯৬৪ সালে নেহরু মারা গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চোগওয়াল হন পাল্ডেন থন্ডুপ নামগয়াল। এ<br />
সময় ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সর্বশক্তি নিয়োগ করেন সিকিমকে দখল করার জন্য। তিনি কাজে লাগান সিকিমের প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭০ সালে নেহেরু প্রভাবিত সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে লেন্দুপ দর্জি ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। রাজপ্রাসাদের সামনে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ইন্দিরা সরকার রাজার নিরাপত্তার কথা বলে ভারতীয় বাহিনী পাঠায়। কিন্তু তারা রাজাকে গৃহবন্দী করেন। বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিএস দাশকে ভারত সরকার সিকিমের প্রধান প্রশাসক নিয়োগ করে। এই সময় আমেরিকান এক পর্বতারোহী গোপনে সিকিম প্রবেশ করেন এবং সিকিমের স্বাধীনতা হরণের খবর বিশ্বের নিকট তুলে ধরেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। সিকিম জাতিসংঘের সদস্য পদভুক্তিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল।<br />
<br />
এর মধ্যে ভারতের তাঁবেদার লেনদুপ দর্জির নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে জিতে ২৭ মার্চ ১৯৭৫ প্রথম ক্যাবিনেট মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি রাজতন্ত্র বিলোপ ও জনমত যাচাইয়ে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেন। ততদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তারা বন্দুকের মুখে ভোটারদের ‘হ্যাঁ' ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরো ঘটনা ছিল সাজানো। ৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সালের সকালে সিকিমের রাজা যখন নাস্তা করতে ব্যস্ত সে সময় ভারতীয় সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে এবং রাজাকে বন্দী করে প্রাসাদ দখল করে নেয়। তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ভারতের প্রদেশে পরিণত করে।সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো সিকিম সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।<br />
<br />
ভারতীয় সাংবাদিক সুধীর শর্মা ‘পেইন অব লুজিং এ নেশন' (একটি জাতির হারিয়ে যাওয়ার বেদনা) নামে একটি প্রতিবেদনে জানান, ভারত তার স্বাধীনতার গোড়া থেকেই সিকিম দখলের পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহেরু অনেকের সাথে কথোপকথনে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র'-এর সাবেক পরিচালক অশোক রায়না তার বই ‘ইনসাইড স্টোরী অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস'-এ সিকিম সম্পর্কে লিখেন, ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১৯৭১ সালেই সিকিম দখল করে নেয়া হবে। সে ল্েয সিকিমে প্রয়োজনীয় অবস্থা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন, হত্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছিল।তারা ছোট ছোট ইস্যুকে বড় করার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তার মধ্যে হিন্দু- নেপালী ইস্যু অন্যতম। সাংবাদিক সুধীর শর্মা লিখেন, লেনদুপ দর্জি নিজেই শর্মাকে বলেছেন, ‘ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর লোকেরা বছরে দু'তিনবার তার সাথে দেখা করে পরামর্শ দিত কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যাবে। তাদের একজন এজেন্ট তেজপাল সেন ব্যক্তিগতভাবে তাকে অর্থ দিয়ে যেতো এআন্দোলন পরিচালনার জন্য। এ অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস পরিচালিত হতো।'শর্মা আরো লিখেছেন, এই ‘সিকিম মিশনের' প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, যা সর্বত্র ‘র' নামে পরিচিত।<br />
<br />
ক্যাপ্টেন ইয়াংজু লিখেছেন, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক পোশাকে রাজার বিরুদ্ধে গ্যাংটকের রাস্তায় মিছিল, আন্দোলন ও সন্ত্রাস করত। নেহেরুর পরামর্শ, মদদ ও উৎসাহে সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন লেনদুপ দর্জি। শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, চলবে' লেনদুপ দর্জির গণতন্ত্রের শ্লোগান শুনে সিকিমের সাধারণ জনগণ ভাবতেই পারেনি, এই শ্লোগানের পিছনে প্রতিবেশী দেশ একটি জাতির স্বাধীনতা হরণ করতে আসছে।সিকিমের জনগণকে দ্বিধাবিভক্ত করে ভারত তার আগ্রাসন সফল করতে এবং এক পকে মতায় এনে তাদের দ্বারা দেশ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল।সিকিমের মত ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশেও যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে দলমতনির্বিশেষে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণবাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতিরা ভারত দিনের পর দিন জোরদার করে চলেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত আউট পোস্টগুলোর (বিওপি) একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে হ্রাস করে ৪/৫কিলোমিটারে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং এগুলোতে বিএসএফ-এর শক্তি দ্বিগুণ করা হচ্ছে।<br />
<br />
বিএসএফ এই সীমান্তে থারমাল নাইটভিশন ডিভাইস, টেলিস্কোপিক বন্দুকসহ উচ্চমানের হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে। এই সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার এলাকাকে কাঁটাতারের বেড়াসহ ফাড লাইটের আওতায় আনার এবং প্রশিতি কুকুর মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে।বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের ২৭৭ কিলোমিটার এলাকা ফাড লাইটের আওতায় আনার কাজ দু'বছর আগেই সম্পন্ন হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৯৯ সালের কারগিল কনফিক্টের পর থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিরা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত- প্রতিরা শক্তিশালী করার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।ভারত তার বাংলাদেশ সীমান্তে প্রথম পর্যায়ে ৮৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ করে এবং একই সঙ্গে পাকা সড়ক নির্মাণ করে ২ হাজার ৬শ' ৬ কিলোমিটারের বেশী এলাকা।দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ২ হাজার ৪শ' ৩০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণ, ৭শ' ৯৭ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৪ কি.মি সেতু নির্মাণ<br />
প্রকল্প অনুমোদন করেছে । প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সীমান্তে বেড়া ও সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ২০০৬ সাল নাগাদ ভারত মোট ২ হাজার ৫শ' ৩৬ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ৩ হাজার ২শ' ৫১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করেছে বলে ভারতীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।<br />
<br />
যদিও ১৯৭৪ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন প্রতিরা কাঠামো নির্মাণ করা নিষিদ্ধ, তবুও ভারত তা করে চলেছে। বলাবাহুল্য, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও সড়ক তৈরী প্রতিরা কাজের মধ্যেই পড়ে । ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত দু'দেশের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হলেও তা কোন ফল দেয়নি। ভারতের বর্তমান প্রস্তুতি অনুযায়ী সীমান্ত সড়ক দিয়ে অনায়াসে সমর যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এরফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিরা ব্যবস্থাও জোরদার করতে পারবে।<br />
<br />
ভারতের বর্ডার আউট পোস্ট-বিওপি'র সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এগুলোতে মোতায়েন জওয়ানের সংখ্যাও সে তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।একারণেই বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ‘সিকিমফোবিয়া' কাজ করছে প্রবলভাবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশও সিকিমের পরিণতি বরণ করে কিনা। আর সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টিতে এজেন্ট তৈরীর নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে । বড় দেশ হিসেবে ভারতের অন্যতম কৌশল হলো, ছোট দেশের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক পর্যায়ের প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিবর্গের মগজগুলো কিনে নেয়া। ভারত যদি বাংলাদেশকে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেখতে চায় তবে মাথা কেনার কৌশল বাদ দিতে হবে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারেও ভারতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা-বক্তব্য আসা উচিত- যাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হতে পারে । তাছাড়া নতুন বাঙালী প্রজন্মকে সিকিমের করুণ পরিণতির ইতিহাস জানাতে হবে। ইতিহাস বলে,ভারত সিকিমে এ কৌশলে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। এখানেও সেই চেষ্টা করছে বলে অনেকেই সন্দেহ করেন। এসব কাজ অব্যাহত থাকলে সেটা হবে অবন্ধুসুলভ। মূলতঃ সিকিমের ইতিহাস হলো ভারতের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরন ।<br />
<br />
(সংগৃহিত)</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-19564670641657387572013-11-25T10:48:00.001+06:002013-11-25T11:06:17.507+06:00Ayat al-Kursi [Al-Quran: Surat al-Baqarah, Ayah 255] <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<div style="text-align: left;">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRNokT2t-ldT0oECBRAwVku60mlBbhyEZH-NjvJw92CnnxjN4btBaVn29gR1rPa3MOF23eTZ0OwJcwqcGM8P55gnqi80rSpnVSpN4mEHcHerXGumZrWTzZZfLNefnDjNmbtP9Df8j88Ew/s1600/ayt+al+qursi.jpg" imageanchor="1" style="clear: left; float: left; margin-bottom: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="518" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRNokT2t-ldT0oECBRAwVku60mlBbhyEZH-NjvJw92CnnxjN4btBaVn29gR1rPa3MOF23eTZ0OwJcwqcGM8P55gnqi80rSpnVSpN4mEHcHerXGumZrWTzZZfLNefnDjNmbtP9Df8j88Ew/s640/ayt+al+qursi.jpg" width="640" /></a></div>
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><br /></span></span>
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><br /></span></span></div>
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><b>Transliteration:</b></span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><br /></span></span>
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">In the name of Allah the Most Merciful, and Compassionate Allah </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><br /></span></span>
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">There is no god but He,</span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">The Living, the Everlasting, </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">Slumber seizes Him not, neither sleep,</span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">To Him belongs all that is in the heavens and the earth. </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">Who is there that can intercede with His, except by His leave? </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">He knows what lies before them and what is after them, </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">And they comprehend not anything of His Knowledge save as He wills. </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">His throne comprises the heavens and the earth,</span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">The preserving of them fatigues Him not, </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">And He is the All-High, All-Glorious. </span></span><br />
<span style="line-height: 18px;"><span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"></span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">[Al-Quran: Surat al-Baqarah, Ayah 255] </span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><b><br /></b></span></span>
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><b>Benefits: </b></span></span><br />
<span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;"><br /></span></span><span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">It was narrated that Abu Umaamah said: “The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Whoever recites Aayat al-Kursiy immediately after each prescribed prayer, there will be nothing standing between him and his entering Paradise except death.”</span></span><span style="font-family: lucida grande, tahoma, verdana, arial, sans-serif;"><span style="line-height: 18px;">This is how it was narrated by al-Nasaa’i in al-Yawm wa’l-Laylah, from al-Hasan ibn Bishr. It was also narrated by Ibn Hibbaan in his Saheeh from Muhammad ibn Humayr, who is al-Homsi, and is also one of the men of al-Bukhaari. The isnaad meets the conditions of al-Bukhaari. </span></span></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-23484561625184482982013-11-19T03:03:00.000+06:002013-11-19T03:03:12.876+06:00Tips For Flat belly <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
1.<br />
Eat one serving of monounsaturated fats with each meal throughout the day to reduce stomach fat.Choose from 1/4 cup of avocados, dry roasted nuts, natural peanut butter, dark or semi-sweet chocolate, pesto sauce, ten olives or one tablespoon monounsaturated oil.<br />
<br />
<br />
2.<br />
Eat four small meals a day consisting of about 400 calories.Opt for a Mediterranean-style diet and avoid red meat!<br />
<br />
3.<br />
To follow the Flat Belly Diet menu avoid salt, processed foods, excess carbohydrates, artificial sweeteners, fried foods, spicy foods, carbonated beverages, bulky raw foods like carrots, broccoli and cauliflower. Only eat cooked vegetables. Drink high-acid drinks like coffee and wine sparingly.<br />
<br />
<br />
4.<br />
Drink at least two liters of water throughout the day. To jump-start the Flat Belly Diet drink “sassy water” by mixing two liters of water with one teaspoon grated ginger, one medium cucumber, one medium lemon and 12 spearmint leaves. Make the “sassy water” at night in a blender. Refrigerate and drink the next day.<br />
<br />
<div>
<br /></div>
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-14147763983050318952013-11-19T02:56:00.000+06:002013-11-19T02:56:04.602+06:00বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ও ব্যান্ডউইথ বিক্রি তেলেসমাতি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
আমরা অনেকেই প্রযুক্তির খুঁটিনাটি বুঝি না। বুঝি ইন্টারনেটের গতি। ধীরগতিতে ত্যক্তবিরক্ত। থ্রিজি নিয়ে যত হইচই, তার সেবা সাধারণ জনমানুষ কতটুকু পাবে- সেটাও নিশ্চিত নয়। টেলিটকের গ্রাহক সেবা কুৎসিত রকমের বাজে হলেও, গতি ভালো। বেসরকারি অপারেটররা থ্রিজি নিয়ে বিশাল হইচই করছেন। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের আগেই দেখছি, দাম অনেক বেশি।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDekT_6hqnH7eeN31Zr7CC8KffgWTt2NPfAsfb-mDg2NQlCcPnMRtPoxPXTH72b9DkLc8C2YRSTnGFCwTAjeVj0Z4U-anNmj_T_MbaVFnJEP_XpuzCGT7Hkk_wGxwgZGQSEV4PAfOSvPM/s1600/dearJulius.com.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDekT_6hqnH7eeN31Zr7CC8KffgWTt2NPfAsfb-mDg2NQlCcPnMRtPoxPXTH72b9DkLc8C2YRSTnGFCwTAjeVj0Z4U-anNmj_T_MbaVFnJEP_XpuzCGT7Hkk_wGxwgZGQSEV4PAfOSvPM/s400/dearJulius.com.jpg" width="400" /></a></div>
<br />
<br />
ইন্টারনেটের গতি নিয়ে কথা বলতে গেলেই আমাদের কিছু বক্তব্য শুনতে হয়।<br />
ক. গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।<br />
খ. ’৯১-এর বিএনপি সরকার বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ নেয়নি, নিরাপত্তার অজুহাতে।<br />
গ. ’৯৬-এর শেখ হাসিনা সরকার সাবমেরিন কেবলের সংযোগ নিয়েছেন। নিতে হয়েছে অর্থের বিনিময়ে।<br />
<br />
এই তিনটি বক্তব্যই পুরোপুরি সত্য। এই সত্যতা মাথায় রেখেই ইন্টারনেটের বর্তমান গতি নিয়ে কথা বলছি। থ্রিজি এসেছে, ফোরজি আসবে, এই প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েই কিছু কথা বলতে চাইছি।<br />
<br />
১. বাংলাদেশের কাছে এখন মোট ২৬০.৬ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আছে। আমরা এখন ব্যবহার করি কোনো হিসাবে ১৭ গিগাবাইট, কোনো হিসাবে ২৬ গিগাবাইট। ধরে নিলাম সর্বোচ্চ ৩০ গিগাবাইট ব্যবহার করছি। ২৬০.৬-৩০=২৩০.৬ গিগাবাইট আমাদের মজুদ রয়ে গেছে। যার কোনো ব্যবহার নেই। আমাদের যে ইন্টারনেটের গতি, সেটা হচ্ছে ৩০ গিগাবাইটের গতি।<br />
<br />
আমি নিশ্চিত, আপনারা অনেকেই মনে করছেন আমি ভুল লিখছি, ভুল বা অসত্য তথ্য দিচ্ছি। না, ভুল তথ্য নয়। বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটাই বাস্তব এবং সত্য তথ্য।<br />
<br />
২. ২৩০ গিগাবাইট কেন মজুদ করে রেখেছি, কেন ব্যবহার করছি না? - এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর কারও কাছে আছে বলে আমার জানা নেই। এর সামান্য কিছু অংশ চুরি করে ব্যবহার করা হয় ‘ভিওআইপি’র কাজে। আপনাদের যাদের মোবাইলে বিদেশ থেকে ফোন আসে, দেখবেন ৯৯% নাম্বার ওঠে টেলিটকের। রাষ্ট্রের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিয়ে কিছু ব্যক্তি-গোষ্ঠী হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করছে। ভিওআইপি’র এই চক্রে কে জড়িত আর কে জড়িত নয়... এখন সে বিষয়ে কিছু নাই বা বললাম। তবে ২৩০ গিগাবাইটের খুব সামান্য অংশই এ কাজে ব্যবহার হয়।<br />
<br />
৩. প্রথমাবস্থায় বাংলাদেশের হাতে ছিল ১৬০.৬ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ। পরে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) থেকে লোন নিয়ে আরও ১০০ গিগাবাইট যোগ করা হয়। এখন আইডিবি থেকে লোন নিয়ে আরও কমপক্ষে ১০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। হাতে এত বিশাল পরিমাণ মজুদ রেখে লোন নিয়ে আরও ব্যান্ডউইথ কেনার তাৎপর্য কি?<br />
<br />
৪. তাৎপর্যের একটি তথ্য জানা গেল সম্প্রতি। তথ্যটি জানিয়েছে ভারতের গত ১৩ আগস্ট সংখ্যায় ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’।.<br />
তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) সঙ্গে ভারতের টাটা টেলিকমিউনিকেশনের ব্যান্ডউইথ বিক্রির একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যা নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনা অনুযায়ী টাটা বাংলাদেশের কাছ থেকে ১০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ ক্রয় করবে, বছরে ১ কোটি ডলারের বিনিময়ে। ১ কোটি ডলার মানে ৬১ কোটি রুপি বা ৮০ কোটি টাকা। ১০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথের দাম বাংলাদেশের বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।<br />
<br />
৫. সাপ্তাহিক-এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিটিসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছি, কেন আমরা ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করে মজুদ রেখে দিয়েছি। উত্তর এসেছে, আরও ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, হবে... অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে...। .অবকাঠামো উন্নয়ন হয়ে গেলেই আরও ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি বোগাস কথা। দেশের প্রায় সোয়া তিন কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে। এছাড়া আরও যারা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, তারা এখন আরও অধিক পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতে পারেন। তাদের ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু তারা পাচ্ছেন না। অবকাঠামো উন্নয়ন বলতে বিটিসিএল কি বোঝাতে চায়, সেটাই পরিষ্কার নয়। কেবল টানা বা যা কিছুই বেঝাতে চাক না কেন, বাস্তবতা হলো তারা সত্য বা সঠিক কথা বলছেন না। সঠিক তথ্য মানুষকে জানাচ্ছেন না।<br />
<br />
৬. টাটার কাছে ব্যান্ডউইথ বিক্রির বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য বিটিসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সাবমেরিন কেবল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের বৈদেশিক যোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা শেখ রিয়াজ সাপ্তাহিককে বলেন, ‘আমরা একটা প্রপোজাল ভারত সরকারকে দিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে এর কোনো জবাব এখনও পাইনি। আমরা কোনো চুক্তির খবর জানি না।’<br />
<br />
‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিএসএনএল ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিএসসিসিএলের মধ্যে ইতোমধ্যে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য তারা ই-মেইলের মাধ্যমে দু’দেশের দুটি কোম্পানির সঙ্গেই যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পাননি।<br />
ভারতকে যে এ রকম একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সেটা স্বীকার করছে আমাদের বিএসসিসিএল।<br />
<br />
৭. বাংলাদেশ ব্যান্ডউইথ কিনেছে আইডিবির কাছ থেকে লোন নিয়ে। যদি এটা স্বল্প সার্ভিস চার্জের লোন হয় তবে এটার সার্ভিস চার্জ .৭৫% থেকে ১.৭৫%। .আর উচ্চ হলে এর সার্ভিস চার্জ হতে পারে ৪% থেকে ৫%।. সঠিক সার্ভিস চার্জ এবং লোনের মোট পরিমাণ লেখার শেষ সময় পর্যন্ত জানতে পারিনি। ইআরডি থেকে জানার চেষ্টা করছি। পরিমাণ কমবেশি যাই হোক, সার্ভিস চার্জ কমবেশি যাই হোক- বাংলাদেশের জনগণের জন্য কেনা ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত পড়ে থাকবে কেন? কেন বাংলাদেশের মানুষ তার সুফল পাবে না?<br />
<br />
৮. বাংলাদেশের বাজারমূল্যে যার দাম ১০ হাজার কোটি টাকা। ৫ হাজার কোটি টাকা দাম ধার্য করলে বাংলাদেশেরই অনেক প্রতিষ্ঠান এই পরিমাণ ব্যান্ডউইথ কিনবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে যা নিশ্চিত হওয়া গেছে। মাত্র ৮০ কোটি টাকায় কেন সেটা ভারতকে দেয়ার আলোচনা চলছে? কেন সব কিছু এত গোপনে হচ্ছে?<br />
<br />
৯. সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক জনগণ। সাবমেরিন কেবলের মালিকও জনগণ। রাষ্ট্র বা সরকার আছে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে। সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থেকে কেন লুকোচুরি করা হচ্ছে? যদি ভারত বা অন্য কোনো দেশের কাছে ব্যান্ডউইথ বিক্রি বা লিজের উদ্যোগ নেয়া হয়, সেটা প্রকাশ্যে স্বচ্ছভাবে নেয়া হোক। বিক্রি বা লিজ দিলে বাংলাদেশের মানুষের কি লাভ হবে, সেটা জানার অধিকার নিশ্চয়ই জনমানুষের আছে। আর যদি এমন কোনো উদ্যোগ না নেয়া হয়ে থাকে সেটাও পরিষ্কার করা জরুরি। ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ মানসম্পন্ন একটি পত্রিকা। তারা ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করেছে বলে মনে হয় না। তারা বলছে টাটা এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করবে আসাম ত্রিপুরা... প্রভৃতি রাজ্যগুলোতে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হবে ১০ বা ২০ বছরের জন্য।<br />
<br />
১০. জনগণের অর্থে কেনা ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত রেখে কি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে? এই প্রশ্নের উত্তর কি? যে কারণে বিএনপি সরকার সাবমেরিন কেবলের সংযোগ নেয়নি, বর্তমান সরকারও কি একই রকম নিরাপত্তাজনিত জুজু’র ভয়ে ‘মজুদ তত্ত্বে’ বিশ্বাস করছে? পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছে কি কোনো দুষ্টচক্র? জনগণকে বঞ্চিত করে এই চক্র ভোগ করছে বা করতে চাইছে জনসম্পদ?<br />
এ বিষয়ে পরিষ্কার স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দাবি করি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।<br />
<br />
#<br />
গোলাম মোর্তোজা, সম্পাদক, সাপ্তাহিক<br />
<div>
<br /></div>
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-16653006926108371972013-06-06T17:29:00.000+06:002013-06-06T17:29:27.719+06:00নামাজের অবিশ্বাস্য ১১ টি উপকারিতা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
১/ নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়।<br />
<br />
২/ নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।<br />
<br />
৩/ নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত<br />
হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।<br />
<br />
৪/ নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।<br />
<br />
৫ নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।<br />
<br />
৬/ নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের<br />
দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার<br />
জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।<br />
<br />
৭/ নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।<br />
<br />
৮/ ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয়,তাতে আমাদের<br />
মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয়।ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ<br />
বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।<br />
<br />
৯/ কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।<br />
<br />
১০/ নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।<br />
<br />
১১/ কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-85925546621646296042013-04-12T02:41:00.000+06:002013-04-12T02:42:45.290+06:00কবিরা গুনাহ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
জেনে নিন কবীরা গুনাহ গুলো নিম্নরূপ:<br />
<br />
১. শিরক করা ৷<br />
২. মানুষ হত্যা করা ৷<br />
৩. জাদুটোনা করা ৷<br />
৪. নামাজে অবহেলা করা ৷<br />
৫. যাকাত না দেয়া ৷<br />
৬. বিনা ওজরে রমজানের রোযা ভঙ্গ করা ৷<br />
৭. সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্ব না করা ৷<br />
৮. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ৷<br />
৯. রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্ন করা ৷<br />
১০. যিনা-ব্যভিচার করা ৷<br />
১১. লাওয়াতাত বা সমকামিতা করা ৷<br />
১২. সুদের আদান-প্রদান ৷<br />
১৩. ইয়াতিমের মাল আত্মসাত করা এবং তাদের ওপর জুলুম করা ৷<br />
১৪. আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করা৷<br />
১৫. ধর্মযুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন৷<br />
১৬. শাসক কর্তৃক জনগণের ওপর জুলুম৷<br />
১৭. গর্ব-অহংকার৷<br />
১৮. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া৷<br />
১৯. মদ্যপান৷<br />
২০. জুয়া খেলা৷<br />
২১. সতী- সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া৷<br />
২২. গনীমতের মাল আত্মসাত্ করা৷<br />
২৩. চুরি করা৷<br />
২৪. ডাকাতি করা৷<br />
২৫. মিথ্যা শপথ করা ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা৷<br />
২৬. জুলুম বা অত্যাচার করা৷<br />
২৭. জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা৷<br />
২৮. হারাম খাওয়া ও যেকোন হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন ও ভোগদখল করা৷<br />
২৯. আত্মহত্যা করা৷<br />
৩০. কথায় কথায় মিথ্যা বলা৷<br />
৩১. বিচারকার্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া৷<br />
৩২. ঘুষ খাওয়া৷<br />
৩৩. পোশাক-পরিচ্ছদে নারী- পুরুষের সাদৃশ্যপূর্ণ বেশভূষা৷<br />
৩৪. নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রশ্রয়দান৷<br />
৩৫.তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে চুক্তিভিত্তিক হিলা বিয়ে করা৷<br />
৩৬. প্রস্রাব থেকে পবিত্র না থাকা৷<br />
৩৭. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ কাজ করা৷<br />
৩৮. দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা এবং সত্য<br />
গোপন করা৷<br />
৩৯. আমানতের খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা৷<br />
৪০. দান-খয়রাতের খোটা দেয়া৷<br />
৪১. তকদিরকে অবিশ্বাস করা৷<br />
৪২. কান পেতে অন্য লোকের গোপন কথা শোনা৷<br />
৪৩. চোগলখুরি করা৷<br />
৪৪. বিনা অপরাধে কোন মুসলমানকে অভিশাপ ও গালি দেয়া৷<br />
৪৫. ওয়াদা খেলাফ করা৷<br />
৪৬. গণকের কথায় বিশ্বাস করা৷<br />
৪৭. স্বামীর অবাধ্য হওয়া৷<br />
৪৮. প্রাণীর প্রতিকৃতি আঁকা৷<br />
৪৯. বিপদে উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা৷<br />
৫০. বিদ্রোহ, দম্ভ ও অহংকার প্রকাশ৷<br />
৫১. দাস-দাসী দুর্বল শ্রেণীর মানুষ এবং জীবজন্তুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা৷<br />
৫২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া৷<br />
৫৩. মুসলমানদের কষ্ট ও গালি দেয়া৷<br />
৫৪. আল্লাহর বান্দাদের কষ্ট দেয়া৷<br />
৫৫. অহংকার ও গৌরব প্রকাশে টাখনুর নিচে পোশাক পরা৷<br />
৫৬. পুরুষের স্বর্ণ ও রেশম কাপড় পরিধান করা৷<br />
৫৭. মনিবের কাছ থেকে গোলামের পলায়ন বা বৈধ কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করা৷<br />
৫৮. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু-পাখি যবেহ করা৷<br />
৫৯. যে পিতা নয়, তাকে জেনে-শুনে পিতা বলে পরিচয় দেয়া৷<br />
৬০. ঝগড়া ও বাদানুবাদ করা৷<br />
৬১. প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অন্যকে না দেয়া৷<br />
৬২. মাপে এবং ওজনে কম দেয়া৷<br />
৬৩. আল্লাহর আজাব ও গজব সম্পর্কে উদাসীন হওয়া৷<br />
৬৪. আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া৷<br />
৬৫. বিনা ওজরে জামায়াত ত্যাগ করা এবং একাকী নামাজ পড়া৷<br />
৬৬. ওজর ছাড়া জুমআ এবং জামায়াত ত্যাগ করার ওপর অটল থাকা৷<br />
৬৭. উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরীয়ত বিরোধী ওসিয়ত করা৷<br />
৬৮. ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরি,প্রতারণা করে মানুষ ঠকানো৷<br />
৬৯. মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দাগিরি করা এবং তাদের গোপনীয় বিষয় অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া৷<br />
৭০. রাসূলের সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া৷<br />
<br />
আল্লাহ আমাদের এই সকল কবিরা গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।<br />
<br /></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-85953233785939631492013-04-09T20:52:00.003+06:002013-04-12T02:46:47.218+06:00ধর্মনিরপেক্ষতা মানে মানুষের সামনে আসলে কি বুঝাইতে চায় নাস্তিকগুলো???<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
1. রাজনীতিতে ধর্মের কোন প্রভাব থাকবেনা<br />
(উত্তরঃ ইসলাম পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান,সকল ক্ষেত্রে একজন মুসলিম যেই বিধান অনুযায়ী চলবে তা হল ইসলাম)।<br />
<br />
2. ধর্ম হয় মানুষের রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কিসের??<br />
(উত্তরঃ যে,ভাষা হয় মানুষের রাষ্ট্রের আবার ভাষা মানে রাষ্ট্রভাষা আবার তাইলে কি??)<br />
<br />
3. ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা যাবেনা । রাষ্ট্রের আইন কানুন প্রনয়ন এর ক্ষেত্রে ধর্মের অনুশাসনের কোন প্রভাব থাকবেনা<br />
(উত্তরঃ তাইলে এক কাজ কর কোন ক্ষেত্রে আইন প্রনয়নের আগে দেখ অন্য সব ধর্ম কি বলে এই ব্যপারে, তারপরে সব ধর্মের নির্দেশের বাইরে যেই অপশন থাকে ওইটাই আইন বানও। লক্ষ রাখ কোন ভাবেই যেন কোন ধর্মের সাথে মিলে না যায় আইন!! যেমন, চুরি করাকে ভালো কাজ হিসেবে আইন বানাও,কারনএইটা খারাপ কাজ বলা আছে প্রায় সব ধর্মগ্রন্থেই ।<br />
<br />
<br /></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-125183161154726392013-04-09T03:16:00.000+06:002013-04-09T03:16:02.641+06:00হেফাজতে ইসলামের দাবীতে নারী প্রসঙ্গ: মিডিয়ার অপপ্রচারের আরেকটি নমুনা <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার মধ্যে ৪নং দাবীটি নিম্নরূপ:<br />
<br />
৪. ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা,অনাচার,ব্যভিচার,প্রকাশ্য নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
<br />
হেফাজতে ইসলামের দাবী মানলে মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে না, গার্মেন্টস এর মেয়েরা চাকুরী করতে পারবে না ইত্যাদি যা মিডিয়ায় বলা হচ্ছে তা এখানে কোথায়? এখানে একটি দাবীতে ‘কমা’ দিয়ে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরে শেষে এ ধরনের সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করার দাবী জানানো হয়েছে। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের নামে সম্প্রতি শাহবাগে নারী-পুরুষের এক সাথে অবস্থান ও বসবাস, রাত্রিযাপনসহ পরিবার ব্যবস্থা বিধ্বংসী পশ্চিমা ধাচের ফ্রী মিক্সিং ও লিভিং টুগেদার সংস্কৃতি আমদানীর যে তোরজোর শুরু হয়েছে তা বন্ধ করার দাবী জানানো হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, ৪ নং দাবীটি হচ্ছে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবী। এখানে নারীদের ঘরের বাইরে যেতে না দেয়া, চাকুরী করতে না দেয়া, জীবিকার প্রয়োজনে কাজ-কর্ম করতে না দেয়ার কোন কিছুই নেই। অথচ এটা বলেই ইসলাম ও মহানবী সা. এর স¤্§ান রার আন্দোলন সম্পর্কে নারীসমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর পর এবার তারা নারীসমাজ ও ইসলামকে মুৃেখামুখী দাঁড় করাতে চাচ্ছে। এ অপচেষ্টাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবে। কারণ বাংলাদেশের নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি ধর্মপ্রাণ। গুটিকয়েক শহুরে অভিজাত ও ধনিক শ্রেণীর নারী বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ বিশাল নারীগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব করে না। মিডিয়াকে বলতে চাই, মনে রাখবেন, এ অপপ্রচারই একদিন মানুষকে প্রকৃত সত্য জানতে অনুঘটকের ভুমিকা পালন করবে এবং ইসলামের ব্যাপারে সকল ভুল ধারণা দূর করতে সহায়ক হবে ।<br />
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-2366458723141011902013-04-06T20:49:00.003+06:002013-04-06T20:51:07.045+06:00ক্ষোভ <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
<span style="font-size: x-large;">আর কত এই "মুক্তিযুদ্ধ" নামটা বেচে খাবি, ৪০ টা বছর ত খাইলি ।আর কত এই "মুক্তিযুদ্ধ" নামটা নিয়া রাজনীতি করবি। আর কত এই "মুক্তিযুদ্ধ" নামটা নিয়া ব্যবসা করবি .........???</span><br />
<div>
<br /></div>
<br />
<div>
<br /></div>
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-34598777043910105212013-04-06T01:39:00.001+06:002013-04-06T01:50:06.381+06:00লংমার্চ ৬ এপ্রিল <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
<br />
ইসলাম ও নবী করীমের (সা.) অবমাননার বিচার এবং সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালসহ ১৩ দফা দাবিতে ঢাকার রাস্তায় লংমার্চ কর্মসূচি ডাকে হেফাজতে ইসলাম।এই লংমার্চ এ দেশের ১৮ দল সহ সবকয়টি ইসলামি দল আলেম-ওলামা ও মুসল্লি সমর্থন দিয়েছে ।<br />
<br />
<br />
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি :<br />
<br />
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কুরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করতে হবে।<br />
<br />
২.আল্লাহ, রাসূল সা: ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।<br />
<br />
৩. কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী সা:-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।<br />
<br />
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্য নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।<br />
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
৭. মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড় ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
৯. রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিদের ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
১১. রাসূলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসাছাত্র এবং তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
১২. সারা দেশের কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।<br />
<br />
১৩. অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদরাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের তিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে<br />
<br />
<br />
<b>লংমার্চ- পথে পথে বাধা</b><br />
<br />
লংমার্চ প্রতিরোধে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা ২৪ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, সম্মিলিতি পেশাজীবী পরিষদসহ ২৭টি সংগঠন।এ ছাড়া গণজাগরণ মঞ্চ ২২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।<br />
<br />
যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একদিন আগে থেকেই।ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন সারা দেশ। এরই মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থায় বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় রওনা হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের লাখো কর্মী। আসছেন ট্রেনে করেও। তবে তাদের অভিযোগপথে পথে বাধার। বাধা দেয়া হচ্ছে সরকারি দলেরনেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে। হেফাজত কর্মীদের বহনকারী গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া লংমার্চ বহর অনেক স্থানে আটকে দেয় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গতকাল পর্যন্তরাজধানীতে এসে পৌঁছেছেনহেফাজতের বিপুল সংখ্যক কর্মী। বাধা উপেক্ষা করেই আজ দিনের প্রথমভাগে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেআরও হাজার হাজার কর্মীরসমাবেশে অংশ নেয়ার কথা আছে। সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর শাপলা চত্বরে শুরু হবে লংমার্চের সমাবেশ। এই সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। কয়েক হাজার পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে পুরো এলাকায়। রাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে গতকালরাতেই সমাবেশ মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়। রাত ১০টার দিকে কয়েক হাজার কর্মী মঞ্চে নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। তারা নিজেরাই চারপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেন। বিকালে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, লংমার্চে আসতে তাদের কর্মীদের পথে পথে বাধা দেয়া হয়। তারা জানিয়েছেন, আজকের সমাবেশ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।<br />
<br />
হেফাজতের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, টুপিওয়ালা কাউকে দেখলেইরেলস্টেশনে টিকিট দেয়া হচ্ছে না। যারা বাস বা অন্য যানবাহন নিয়ে রওনাহন তারা অহেতুক তল্লাশির শিকার হন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা হেফাজতের কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে সকালে রওনা হলেও তারা ফেরিঘাটে এসে দেখতে পানফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই হেফাজতের কর্মীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। যানবাহন না পাওয়ায় অনেকজেলা থেকে নেতাকর্মীরা লংমার্চে আসার কর্মসূচিবাতিল করে নিজ নিজ জেলায় অবস্থানের ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত তারাঢাকায় আসতে পারেননি। এ কারণে দুপুর থেকে নগরীরর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সামনে এবং ওয়াসা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার থেকে গাড়িবহর নিয়ে ঢাকাউদ্দেশ্যে আসতে না পারায় প্রত্যেক জেলায় আজ সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সিলেট থেকে হেঁটেই হেফাজতের কর্মীরা ঢাকারউদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।যশোর থেকে ঢাকার আসার পথে ফরিদপুরে হেফাজতের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।<br />
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে জানান, লংমার্চে অংশ নিতে পারছেন না হবিগঞ্জের লক্ষাধিক মুসল্লি ও আলেম-ওলামা। প্রতিবাদে আজ শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ মেজর জেনারেল এমএ রব গোল চত্বর এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন ওলামা-মাশায়েখগণ ।<br />
<br />
লংমার্চে একাত্মতা প্রকাশ করেছে হবিগঞ্জ ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ। তারা হবিগঞ্জের বানিয়াচং, বাহুবল, নবীগঞ্জ, সদরসহ কয়েকটি উপজেলার লক্ষাধিক মুসল্লি ও ওলামা-মাশায়েখ প্রস্তুতি নেন লংমার্চে অংশ নেয়ার। সেহিসেবে হবিগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি ও বাস মালিকদের সঙ্গে পরিবহনের জন্য যোগাযোগ করে তারা ব্যর্থ হন। প্রশাসনের নির্দেশে মালিক সমিতি বাস প্রদানে অনীহা প্রকাশ করে। তবে হবিগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গাড়ি ভাঙচুরের ভয়ে কোন বাস মালিক গাড়ি দিচ্ছেন না।তবে সরকারের পক্ষ থেকে গাড়ি প্রদানে কোন বাধা নেই বলে তিনি জানান। এদিকে পরিবহন না পেয়ে হবিগঞ্জ ইসলামী সংগ্রামপরিষদের সভাপতি মাওলানাতোফাজ্জল হকের সভাপতিত্বে গতকাল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন- সংগ্রামপরিষদ নেতা মহিব উদ্দিনআহমেদ সোহেল, হাফেজ আবদুর রহমান, মাওলানা আইয়ুব বিন সিদ্দিক। সভায় তারা লংমাচের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আজ সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহাসড়কে পৌঁছুবেন। সেখানে পরিবহন পাওয়া গেলে ঢাকায় যাত্রা করবেন। অন্যথায় মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্র মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল।<br />
<br />
নাটোর প্রতিনিধি জানান, লংমার্চের কারণে সরাসরিঢাকায় চলাচলরত বাস বন্ধকরে নিয়েছে বাস মালিকরা।<br />
গতকাল শহরের পুলিশ লাইনস, বনপাড়া বাইপাস ও কাছিকাটা টোলপ্লাজাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহল বসিয়ে মুসল্লিদের বাধা প্রদান করা হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন মোড়ে সরকারদলীয় কর্মীরাটহল দিয়ে মুসল্লিদের বাসে উঠতে বাধা দিয়েছে।শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সেখানেই বিক্ষোভ মিছিল করেন তৌহিদী জনতা। সে সময় সরকার বিরোধী স্ল্লোগান না দিতে মুসল্লিদের শাসিয়ে দেয় সরকারদলীয় কর্মীরা। এ ব্যাপারে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ এটাকে নিয়মিত টহল দাবি করেছেন। তবে বাধাপ্রাপ্ত মুসল্লিরা জানান, ঢাকা যেতে নিষেধ করে বাস ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বাধা উপেক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।<br />
দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে জানান, দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশি বাধার মুখে লংমার্চে নাযেতে পেরে থানা পয়েন্টেঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেন লংমার্চগামী নেতাকর্মীরা। গতকাল জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্র্র্মীরা থানা পয়েন্টে ভাড়া করা ৫টি বাসে ওঠার চেষ্টা করে। এ সময় দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাসটি ঘিরে ফেলেন। ভয়ে বাসচালক, বাস রেখেই পালিয়ে যান। এরপর নেতাকর্মীরা জায়নামাজ বিছিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী চলা অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, মাওলানা নূরউদ্দিন আহমদ, মাওলানা ইলিয়াছ আহমদ, হাফেজ মাওলানা আরিফ আহমদ, মাওলানা লোকমান আহমদ, মাওলানা মুখতার হোসাইন প্রমুখ। দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমরা কাউকে বাধা প্রদান করিনি। আমরা শুধু বলেছি আপনারা যারাযাচ্ছেন তাদের ভিডিও করে রাখবো। বাস আটকিয়েছে মালিক সমিতি।<br />
<br />
<br />
পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে শাপলা চত্তরে মহাসমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর মতিঝিলে এগিয়ে চলেছে হেফাজতে ইসলামের মঞ্চ তৈরির কাজ। প্রায় ২০০ লোকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ২৫ বাই<br />
৩০ ফিট মঞ্চটি তৈরির কাজ শুরু হয় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায়। রাত ১২টার মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকার দু’পাশের রাস্তা বন্ধ রয়েছে।হেফাজতের হাজার হাজার কর্মী সেখানে অবস্থান করছেন. ইতিমধ্যেই সারা দেশ থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন ৫ লাখ লংমার্চ সমর্থক আলেম-ওলামা ও মুসল্লি।</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-44082040345793373582013-04-05T22:27:00.000+06:002013-04-05T22:27:47.731+06:00STORY BEHIND YOUR DATE OF BIRTH !!!! <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
It's Interesting !! Hey this is really true and see it will work for you too<br />
<br />
If U were born on the 1st, 10th, 19th, 28th of any month U r number 1.<br />
If U were born on the 2nd, 11th, 20th, 29th of any month then U r number 2.<br />
If U were born on the 3rd, 12th, 21st, 30th of any month then U r number 3.<br />
If U were born on the 4th, 13th, 22nd, 31st of any month then U r number 4.<br />
If U were born on the 5th, 14th, 23rd of any month then U r number 5.<br />
If U were born on the 6th, 15th, 24th of any month then U r number 6.<br />
If U were born on the 7th, 16th, 25th of any month then U r number 7.<br />
If U were born on the 8th,17th,26th of any month then U r number 8.<br />
If U were born on the 9th,18th,27th of any month then U r number 9.<br />
<br />
<br />
<b><br /></b>
<b>Number 1</b><br />
<br />
You are smart, straight talking, funny, stubborn, hardworking, honest,Jealous on competing basis, kind hearted, angry, friendly, authorities,Famous person...always want to be and regarded as first on people position, they are often like to be independent, will never be under others, self confident people!<br />
<br />
You are most likely to fall in love in the younger age, but will get marry when you mature! You are likely to have problems with people who have opposite views And you are most likely to take revenge over your enemies in a long time basis. You are a spender, but you will have a good profession in the future.<br />
<br />
If you are guy you will be very popular that everybody will have mental attraction and respect at you. You can go anywhere from the local shop to the heart of the parliament because you are positive and well talented in numerous issues!! But in your life you will always have some people who will work hard to bring you & your name down. This is undercover!! Coz of your smart behavior you will be hated by some people too...<br />
<br />
Your family life is very cool, you will have a very nice partner & wonderful children... You are pioneer, independent & original.<br />
<br />
Your best match is 4,6,8 good match is 3,5,7<br />
<br />
<br />
<b>Number 2</b><br />
<br />
No matter what, you will be loved by every one coz your ruler is the moon and every one loves the Moon. Well.. You are a person who day dream a lot, you have very low-self confidence, you need back up for every move in your life, you are very much unpredictable. Means you do change according to time and circumstances, kind a selfish, have a very strong sense of musical, artistic talent, verbal communication.<br />
<br />
Your attitudes are like the Moon, comes to gloom and fade away so everybody can expect changes in you. You can be a next Mahatma Gandhi who does peace love or you can be a Hitler who wants to destroy the man kind and peace (I mean in the community and your own home).<br />
<br />
If you really have a deep thought about your own believe in God you can feel the difference which will make you stronger! Most of the time your words are a kind of would be happening true! So without any knowledge you can predict the situation. You will become poets, writers, any Artistic business people!<br />
<br />
You are not strong in love, so you will be there and here till you get marry.. If U r a girl you will be a responsible woman in the whole family. If you are a man you will involve in fights & arguments in the family or Vice-versa. Means you will sacrifice your life for the goodness sake of Your family...You are gentle , intuitive with a broad vision, a power behind the scenes, well balanced People!!!<br />
<br />
Your best match is 2 ,5 ,9 no other people can put up with you !!!<br />
<br />
<br />
<b>Number 3</b><br />
<br />
You are a person of hard hearted, selfish most of the times, religious, loves to climb up in your life. You always tend to have lots of problems within your family in the early stages but you will put up with everything.. You have the strong word power, pretty happy face.. So wherever you go always<br />
you have got what you wanted!!! And from the birth always wanted to work hard in order to achieve something..<br />
You will not get anything without hard work! When you reach a man/ woman age you want other younger once to listen to you because you want younger people to respect people older than them. You do set so many examples to others.<br />
<br />
Generally you are not a cool person. It's not easy thing dealing with you. A tough player you are! But once you like someone's attitude then here you go, what can I say? It will be a lasting friendship. You always have respect from others.<br />
<br />
Your life seems to have lots of worries and problems but sure they won't be long.. you will always have brilliant kids!!! You love the money a bit too much so temptation will push you to endless trying and trying.. If you are a guy then it's over. Looking after your family and help friends, so you will spend a life time just being generous and kind (except 21st born men). And number 3s you will be such an example of how to be in the culture & life!!! If you are girl then you have good character and culture & hardworking attitude. You always follow.<br />
<br />
You are a freedom lover, creative, ambition focused, a person who brings beauty , hope & joy to this world!!!<br />
<br />
Your best match 6 ,9. Good match 1 ,3 ,5 !!!<br />
<br />
<br />
<br />
<b>Number 4</b><br />
<br />
You are very stubborn too, very hard working but unlucky in important matters in life, very cool, helpful, you have rough word power.. Might put lots of people away from you, you may cause nuisance to others if you are a man, and you often understands others and their problems well.<br />
<br />
If you are a girl you are very good with studies and arts. If you are a guy you spend most of the time after girl friends (almost) at times, you will have sort of too much fun life with mates & girls. Your friends will spend your time & money and get away with their life and you will become empty handed and don't know what to do... So be careful!! You love to spend anyway!!!<br />
<br />
Your good will is you are always there to help family and friends. Tell you what you people are little gem! s, specially the girls.. You always fall in love in younger age as well. You often live with disappointments, for an example you have got a degree in some thing... but you will be unemployed.. or will do very ordinary jobs.<br />
<br />
But you will take care of your family very well...All you need to be careful of people who will take advantage of your kind heart. And beware of your relations too..<br />
<br />
You are radical, patient, persistent,a bit old-fashioned, you live with foundation & order...<br />
<br />
Your best Match 1, 8. Good match 5 ,6 , 7 !!!<br />
<br />
<br />
<b>Number 5</b><br />
<br />
You are very popular within the community, you can get things done by just chatting..to even enemies! You have a pretty good business mind, you areoften have no-idea what is today is like, or tomorrow is like, you are a person who does anything when your head thinks "lets do this". You will befamous if you open up a business, get involve in share dealings, music etc..<br />
Very popular with sense of humor ,you are the one your friends and families will always ask for help, and you are the one actually get money on credit and help your friends. You will have more than 1 relationship, but when u get settle down you will be a bit selfish anyway. Coz your other half will have a pretty good amount of control in you, be careful!<br />
You tend to go for other relationships! Contacts even you are married at times 'coz your popularity..<br />
You are someone who get along with anyone coz the number 5 is the middle number.. Changes & freedom lovers you are! You are an explorer with magic on your face. You learn your life through experience and it's your best teacher!!!<br />
<br />
Your best match 1 ,2 ,9. Good match 6 ,8 !!!<br />
<br />
<br />
<b>Number 6</b><br />
<br />
Ooopppss..you are born to enjoy.. You don't care about others. I mean you are always want to enjoy your life time, you are a person.. You will be very good in either education or work wise or business management! You are talented, kind (but with only people who you think are nice), very beautiful girls and guys, popular and more than lucky with anything in your lives. All the goodness does come with you. Your mind and body is just made perfect for love.<br />
<br />
You are lovable by any other numbers. But if you are a number 6 man, you will experience kind of looks from most girls and will involve in more than few relationships until you get married. If you are girl, most of you will get marry/engaged early.<br />
<br />
You are a caring person towards your family & friends . If you miss the half-way mark then you are about to suffer physically and mentally. Generally you will lead a very good inner-home happiness with nothing short of. You are a person of compassion, comfort & fairness, domestic responsibility, good judgment, and after all you can heal this world wounds to make peace for every life coz you have the great power of caring talent to make this world of love one step further...<br />
<br />
Your best match 1, 6, 9. Good match 4, 5 !!!<br />
<br />
<b>Number 7</b><br />
<br />
You have got the attraction to anyone out there, you are realistic, very confident, happy, such a talented individual with your education, music, arts, singing, and most importantly acting too. You have real problems with bad temper! If you are a girl, you are popular with the subjects listed above.<br />
<br />
You give up things for your parents. I mean you value your family status a lot, you will be in the top rank when you reach a certain age. If you are a guy you are popular with girls, you are a very talented too. Most of the number 7s face lots of problems with their marriage life.<br />
<br />
Only a very few are happy. You have everything in your life, but still always number 7s have some sort of unfullfilness, such worries all their lifetime.It's probably the Lord given you all sort of over the standard humans talents and you are about to suffer in family life. So you need to get ready looking for a partner rather than waiting. If you don't, then you might end-up single. So take care with this issue, ok?<br />
<br />
You are wonderful, friendly, artistic, happy person.. You are born to contribute lots to this world!!!<br />
<br />
Your best match is 2. Good matches are 1,4 !!!<br />
<br />
<br />
<b>Number 8</b><br />
<br />
You are a very strong personality, there's no one out there will understand you. You are very good at pointing your finger at some thing and say "this is what".<br />
You are more likely to suffer from the early ages. I mean poverty. If your times are not good you might lose either of your parent and end up looking after your entire family. You often suffer all the way in life.<br />
<br />
The problems will not allow you to study further, but you will learn the life in a very practical way. You are the one who will fight for justice and may die in the war too. You are normally very reserved with handful of friends and most of the time live life lonely and always prepared to help others.<br />
<br />
Well. once you get married (which is often late) then your bad lucks will go away a bit and you! u become safe. You will face un-expected problems such as : the error, government, poisonous animals, accidents.<br />
<br />
You are some one with great discipline, persistence, courage, strength which will take you to success. You are a great part of a family team. You are a fighter!<br />
<br />
Your Best match 1 ,4, 8. Good match 5 !!!<br />
<br />
<b>Number 9</b><br />
<br />
Hey...you guys are the incompatibles people in the world. You are so strong, physically and mentally... You are often have big-aims. You will work hard and hard to get there. Normally you suffer in the early age from family problems and generally you will have fighting life.. But when you achieve what you have done, it's always a big task you have done! You are so much respected in the community, you are a person who can make a challenge and successfully finish the matter off.<br />
<br />
You are very naughty in your younger age, often beaten up by your parents and involve in fights and you seemed to have lots of injuries in your life time. But when u grow you become calm and macho type.<br />
<br />
Love is not an easy matter for you. You are good in engineering or banking jobs coz people always trust you.Your family life is very good, but will have worries over your children.Your such qualities are humanitarian, patient, very wise & compassionate.<br />
<br />
You are born to achieve targets and serve every one all equally without any prejudice.<br />
You are totally a role model to anybody in the world for a great inspiration.<br />
<br />
Your Best match 3, 5, 6, 9. Good match 2<br />
<br />
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-33741347750321157432013-03-26T10:48:00.000+06:002013-03-26T10:48:39.766+06:00ধর্ম নিরপেক্ষতা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে??<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
আসসালামুআলাইকুম।<br />
<br />
বর্তমানে আমরা তরুণ পরেছি এক বিশাল মছিবতে। যেখানে আমাদের অনেকের ইসলাম সম্পর্কে জানার দৌড় শুধু মাত্র দুই এক বছর ধরে মক্তবে বা ২০০ টাকা মাসে দেওয়া কোন এক ছাত্রের নিকটে। আর এই স্বল্প শিক্ষা নিয়েই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি তর্ক-বিতর্ক।<br />
<br />
তবে আজ আমি অতি সমালোচিত ও ধ্বংসাত্মক একটি বিষয় নিয়ে আমার অল্প জ্ঞানের ভিত্তিতে কিছু বলতে চাচ্ছি। যা নব্য মুসলিমদেরকে এক বিশাল ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অত:পর তারা কিছু ভ্রান্ত কথাকে পুজি করে তর্ক করেই যাচ্ছে। আর বিষয়টি হল মানব সৃষ্ট কুফরি ধর্ম 'ধর্মনিরপেক্ষতা'।<br />
<br />
এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হল মানুষ। আর মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল মুহাম্মদ (সা:)। মহান আল্লাহ এই মানব জাতিকে হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূল প্রেরণ করেছিলেন এই পৃথিবীতে। আর এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূলের মর্যাদা পেয়েছিলেন মুহাম্মদ (সা:)। আর তার উপর অর্পিত দ্বিন হল ইসলাম। আর এই ইসলাম হল সার্বজনীন ধর্ম। যা মানা প্রত্যেক মানুষের উপর ফরজ। আর যারা মানল না তার নিশ্চিত ক্ষতিগ্রস্তদের কাতারে। এই ধর্মকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। আর যারা ইসলাম ধর্মকে অস্বীকার করবে তারাই কাফির। তাহলে কোথায় যাবে ধর্মনিরপেক্ষতা?<br />
ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে কোন ধর্ম নাই। ইসলাম দুনিয়াতে আসার পর অন্য সব ধর্ম বর্জনীয়। আর ইসলাম একমাত্র গ্রহণীয়। এবার যার ইচ্ছে সে ইসলামকে মানবে আর না হয় অন্যসব ধর্ম মানবে। তবে ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে কোন কথা পৃথিবীতে পূর্বেও ছিল না। এটা মানুষের সৃষ্টি। আর এখানে মানুষ স্বয়ং আল্লাহর সাথে challange করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে যা সম্পূর্ণ কুফরী!! এই বিষয়ে একটি আয়াত পেশ করছি,<br />
<br />
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ إِلاَّ مِن بَعْدِ مَا جَاءهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللّهِ فَإِنَّ اللّهِ سَرِيعُ الْحِسَابِ<br />
<br />
"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।" (সূরা আল ইমরান-১৯)<br />
<br />
এবার একটু পেছনে ফিরে তাকাই, দেখি ফেরআউন এর সৃষ্ট আইন সম্পর্ক ইসলাম কি বলে? হযরত মুসা(আ:) এর নবুওয়্যাত কালে ফেরাউন ছিলেন বাদশাহ। আর সে তার শক্তির এতই অহংকার করত যে নিজেক প্রভু বলেও দাবি করত। আর মহান আল্লাহ তাকে একটু স্বাধীনতা দিয়ে দেখলেন কি করে। আর ফেরাউন সেই স্বাধীনতার সুযোগে কুফরি সহ নানা প্রকার অন্যায়-অত্যাচার করত। আর তাকে মারার জন্য আল্লাহ মুসা (আ:) এর বাহিনীকেই যথেষ্ট করেছিলেন। ফেরাউন তাদেকে ধাওয়া করতে গিয়েই আল্লাহর গজবে পরে। আর মুসা(আ:) এর বাহিনী আল্লাহর সহায়তায় জয়ী হয়। এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন-<br />
<br />
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ<br />
<br />
"যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।" (সূরা ইব্রাহীম-৭)<br />
<br />
আর এখন দেখবেন মানুষ নিজের হাতে আইন বানিয়ে তৈরি করছে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সম্রাজ্ববাদ আর সর্বপরি ধর্মনিরপেক্ষ। তাদের অবস্হাও ফেরাউনের ন্যায়। তারা নিজেরাই আল্লাহর বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রণয়ন করছে । আর এই ক্ষমতাকে যে কোন সময় মুচড়ে দিতে পারে আর চুড়ান্ত বিজয় এনে দিবে সত্যিকার মুসলিমের হাতেই।<br />
<br />
যেহেতু প্রত্যেক জিনিস কোন না কোন প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়, তেমনি এই 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শ্লোগানের পেছনেও কিছু কারণ স্পষ্ট। ধর্মনিরপেক্ষতা কথাটা মুসলিমের মধ্যে যেই শুরু করুক না কেন সে ইসলামদ্রোহী। যারা এর পক্ষে প্রচার করছে তারা কখনো মুসলিম হতে পারে না কারণ তারাতো ইসলামকে ত্যগই করে ফেলছে। আর এর প্রভাব এখন নামধারী মুসলিমদের উপর বেশ পরছে। তাইতো তারা সিমেন্ট, মাটির খাম্বার পূজাকেও ইসলামে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। আর এরকম ইসলামের মধ্যে কুফরি মতবাদ ঢুকিয়ে শিরক সহ ব্যভিচারীতার প্রসার ঘটানোর জন্যেই শয়তানের এই এটম বোমা। যা সত্যিকার মুসলিমদের স্পর্শ করার ক্ষমতা না রাখলেও নামধারী মুসলিমদের জ্বালিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তার আল্লাহর সাথে শিরক করছে এমতাবস্তায় মহান আল্লাহ বলেন,<br />
" আমি মানব ও জীন জাতিকে কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।" --[সূরা যারিয়াত,আয়াতঃ ৫৬]<br />
<br />
আর এইসব নামধারী মুসলিমদের চিনতে আপনাকে বেশিদূর পড়া সম্ভব না হলেও নিচের আয়াতটি জেনে রাখুন-<br />
"তারা যখন ঈমানদার লোকদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি, (আবার) যখন একাকী তাদের শয়তানের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথেই আছি, (ঈমানের কথা বলে ওদের সাথে) আমরা ঠাট্টা করছিলাম মাত্র"। (বাকারাঃ১৪)<br />
<br />
আমার স্বল্প জ্ঞানের আলোকে এটাই বোঝাতে চাচ্ছি যার 'ধর্মনিরপেক্ষতার' পেছনে ছুটে ইসলামের সাথে প্রতিযোগিতা করছেতারা নিশ্চিত ভুল কাজের মধ্যে আছে। যা অনতি বিলম্বে ত্যগ করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত জরুরী। আর তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,<br />
<br />
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوَءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُوْلَـئِكَ يَتُوبُ اللّهُ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللّهُ عَلِيماً حَكِيماً<br />
<br />
"অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।"(সূরা আন নিসা-১৭)<br />
<br />
collected from <a href="https://www.facebook.com/notes/%E0%A6%9C%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87/438925712858208" target="_blank">জটিল সমীকরণ(FB)</a><br />
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-46690863333329952842013-03-01T00:23:00.002+06:002013-03-01T00:36:15.650+06:00ইতিহাসের কালো দিন ২৮-২-২০১৩<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
ইতিহাসের একটি কালো দিন ২৮-২-২০১৩ <br />
এই দিনে আল্লামা দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর মত আল্লাহর ওলী, বিশ্ব মুফাসসীরে কোরআন কে এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের অবৈধ ট্রাইবুনাল মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির রায় দিয়েছে <br />
<br />
ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চলছে<br />
সর্বশেষ খবর সারাদেশে এখনো পুর্যন্ত মোট ৮৩ খুন তার মধ্যে শিবির ৬৫, পুলিশ ১২, বিজিবি ১, লীগ ৫<br />
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলছে । সারাদেশে আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। গুলিবিদ্ধ হয়েছে শত শত মানুষ। থানা অবরোধ, পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও, রেললাইন উপড়ে ফেলা, যানবাহন ভাংচুরসহ পুরো দেশ হয়ে পড়েছে রণক্ষেত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাদেশে পুলিশ, র্যাব,<br />
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, এপিবিএন ও রিজার্ভ পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।<br />
রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনী।<br />
<br />
১. রংপুর 8(৮)<br />
২.সিরাজগঞ্জ 2<br />
৩.চট্টগ্রাম 2<br />
৪.কক্সবাজার 4<br />
৫.চাপাইনবাবগঞ্জ 2<br />
৬.দিনাজপুর 1<br />
৭.বগুড়া 1<br />
৯.গাইবান্ধা 4<br />
১০. নোয়াখালী 7<br />
১১.মৌলভীবাজার 4<br />
১২. B. Baria : 5<br />
১৩.সাতক্ষীরা 11<br />
১৪.ঠাকুরগাঁও 5<br />
15. noagaon : 1<br />
16: jamalpur : 1<br />
17: laxmipur: 4<br />
18: Feni : 1<br />
<br />
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-85535605563286110412013-02-20T12:39:00.003+06:002013-11-20T19:20:39.458+06:00Eye Exercise <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiqdEOlLDY9kBPJowzLhBWKmsUxnoTNWLZkBwoZlx8oi9K_Ocn7mTV1Uli6fLyYsRu6LCAuUang6pq7JLUHRu9q-hHyIR9P2xRc9EkPhfgoVCfJ85n3Q_ybdje-dH_wSh6W551EwOKDGBA/s1600/eyeBall.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="260" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiqdEOlLDY9kBPJowzLhBWKmsUxnoTNWLZkBwoZlx8oi9K_Ocn7mTV1Uli6fLyYsRu6LCAuUang6pq7JLUHRu9q-hHyIR9P2xRc9EkPhfgoVCfJ85n3Q_ybdje-dH_wSh6W551EwOKDGBA/s320/eyeBall.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
আদিম পৃথিবীতে মানুষ জন্মেছিলো শিকারির চোখ নিয়ে যাতে দূরে থাকা শিকার কে সে সহজেই দেখতে পারে। আধুনিক যুগে অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহার কারী এবং ভিডিও গেম প্লেয়ার দের চোখের ফোকাস দিনের বেশিরভাগ সময় ই অত্যন্ত নিকটবর্তী স্থানে থাকে। পাশাপাশি এদের চোখের পাতা ফেলার হার ও অনেক কম। এই দুটো কারণে এদের মাঝে দেখা যায় নানারকম সমস্যা যেমন স্বল্পদৈর্ঘদৃষ্টি (nearsightedness), চোখের শুস্কতা(dryness) ও ঝাপসা দৃষ্টি (blurred vision), পাশাপাশি ঘাড় ও মাথা ব্যথা তো আছেই। এইসব সমস্যা থেকে রেজাই পেতে কাজের ফাকে ফাকে প্রতি আধাঘন্টায় নিচের ৫ মিনিটের এক্সারসাইজ গুলো করুন, সম্ভব না হলে অন্তত প্রতি একঘন্টায় হলেও করুন।<br />
<br />
১) ২০ বার চোখের পাতা দ্রুত ফেলুন। এবার চোখ বন্ধ করে চোখের মনি ঘড়ির কাটার দিকে ১৫ বার আবার বিপরীতে ১৫ বার ঘুরান। এরপর লম্বা দম নিন। দম ছাড়তে ছাড়তে আস্তে আস্তে চোখ মেলুন।(এক মিনিট)<br />
<br />
২) আপনার বুড়ো আঙ্গুল নাক থেকে ৬ ইঞ্চি দূরে ধরে তাকিয়ে থাকুন (একটা বড় শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়া পর্যন্ত)।. এবার অন্তত দশ ফিট দূরের কোন বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকুন থাকুন (একটা বড় শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়া পর্যন্ত)।. ঘরে জানালা থাকুলে সবচেয়ে ভালো হয়ে বাইরে গাছের দিকে তাকিয়ে থাকা। না থাকলে ঘরে থাকা কোন দূরবর্তী বস্তুর দিকে তাকান। এভাবে একবার বুড়ো আঙ্গুল আরেকবার দূরের বস্তুর দিকে তাকান মোট ১৫ বার। এটি আপনার চোখের ফোকাস ঠিক করতে সহায়তে করবে। (এক মিনিট)<br />
<br />
৩) ঘরের এক কোনায় বসে ঘরের সব ছোটখাট বস্তু গুলোর (দরজা, লাইট, ফার্নিচার, ঘড়ি) দিকে হালকাভাবে একটার পর একটাতে দৃষ্টি বুলাতে থাকুন। এটি চোখের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করে (এক মিনিট)<br />
<br />
৪) দুই হাতের তালু একটির সঙ্গে আরেকটি ঘসে গরম করুন। এবার তালু দিয়ে চোখ ঢেকে বসে মনে মনে ৬০ পর্যন্ত গুনুন। আলতো করে চোখ ঢেকে রাখবেন, কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করবেন না। হাতের তালুর নিচের অংশ গালে থাকবে এবং আঙ্গুল গুলো কপালে থাকবে। এক হাতের আঙ্গুল আরেক হাতের আঙ্গুলের উপর ক্রস করে থাকবে। এটি চোখকে রিল্যাক্সড করতে সহায়তা করবে (১ মিনিট)<br />
<br />
৫) আপনার থেকে ১০ ফিট দূরে একটি বিশাল চার (৪) কল্পনা করুন। ৪ টিকে কাত করে শুণ্যে শুইয়ে দিন। এইবার চোখ দিয়ে ৪টির গা বেয়ে বেয়ে দৃষ্টি বুলান। কিছুক্ষন ৪ এর মাথা থেকে নিচের দিকে দৃষ্টি বুলান এরপর নিচ থেকে মাথা বরাবর দৃষ্টি বুলান (এক মিনিট)<br />
<div>
<br /></div>
</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-15308496910741953532013-02-15T12:16:00.000+06:002013-02-20T12:40:02.202+06:00untitled <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
আমি যখন মূর্তির বিপক্ষে নোট লিখি, কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং পড়েও তখন আমি " অশিক্ষিত ছাগল" আর ওরা মূর্তির পক্ষে মানব বন্ধন করলে,ইন্টারমিডিয়েটে পড়লেও তখন "শিক্ষিত বানর"।<br />
<br />
আমি যখন আলেম ওলামাদের প্রতি অপবাদের বিরুদ্ধে লিখি, আমি তখন "ব্রেইন ওয়াশড" আর ওরা শিক্ষাবিদ নামধারী নাস্তিকদের অপকর্মের পক্ষে কমেন্ট করে হয় যায় "প্রগতিশীল"।<br />
<br />
আমি বোরখা পড়া মেয়েদের প্রতি সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শরিক হয়ে "গেঁয়ো, সেকেলে" উপাধি পাই। আর ওরা পতিতাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে "মুক্তমনা" উপাধি পায়।<br />
<br />
আমি যখন ওদের গালিগালাজের জবাবে যুক্তিপূর্ণ ভাষা ব্যাবহার করি, তখন আমি "হাবা গোবা" আর ওরা যখন আমার যুক্তিপূর্ণ লেখায়, গালিগালাজ যুক্ত কমেন্ট করে আমাকে ব্লক করে দেয়, তখন ওরা<br />
"পাংখা বুদ্ধিমান"।<br />
<br />
এভাবেই চলছে....... একটা দেশ,আমার প্রানের বাংলাদেশ .........<br />
দেশটা আমার রক্তে কেনা দেশটা আমার মায়ের দেনা<br />
দেশটা আমার দুখী বোনের হাসি<br />
বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি .................. অনেক ভালোবাসি ............<br />
<br />
collected- তরুন-প্রজন্ম-Torun-Projonmo</div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-4224157085385505160.post-89935037556121227922013-02-15T12:05:00.002+06:002013-02-15T12:05:27.887+06:00তাহরির স্কয়ার যা ভেঙেছে শাহবাগ স্কয়ার তা-ই জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"type":45}" id="fbPhotoPageCaption" tabindex="0">তাহরির
স্কয়ার থেকে শাহবাগ স্কয়ার। এই দুই স্কয়ারের মিলগুলো হলো, ফেসবুক, ব্লগ,
টুইটার প্রভৃতি এই উভয় স্কয়ার সৃষ্টি করেছে। নেতৃত্বে এসেছে অপরিচিত তরুণ
ব্লগাররা। দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে দিবারাত্রি অবস্থান একটা ভিন্ন আমেজ যোগ
করেছে।<br /> <br /><span class="text_exposed_show"> তবে বড় অমিলটি হলো,
তাহরির স্কয়ারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তি ছিল খড়্গহস্ত। আর শাহবাগ স্কয়ারে
রাষ্ট্রশক্তি মূল পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়োজিত। এখানে পুলিশের মরিচের গুঁড়ার
স্প্রে নেই। ভীতিকর ঘোড় সওয়ারীরা নেই। বন্দুকের গুলি বা বোমার আঘাতে ঝাঝরা
হওয়ার ভয়টি নেই। বরং তৃষ্ণা নিবারণের জন্য আছে সুশীতল মিনারেল ওয়াটার। আছে
খাবারের আরামদায়ক সরবরাহ। আছে মৌসুম ও প্রকৃতির দান নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ।
আছে মিডিয়ার পুষ্প অর্পণ। আছে সুশীল সমাজের আশীর্বাদ। আছে সিনেমা, নাটক ও
গান শোনার সু-বন্দোবস্ত।<br /> আছে টিভিতে চেহারা দেখানোর ও বক্তব্য রাখার
অপূর্ব সুযোগ। গতকাল যে লাকিকে কেউ চিনত না, সেই লাকির লাক বা ভাগ্য আজ
খুলে গেছে। মতিয়া চৌধুরী ছিলেন এনালগ অগ্নিকন্যা। তার জন্য অনেক সাধনার
দরকার হয়েছিল। এই লাকিদের ডিজিটাল ‘অগ্নিকন্যা’ বানানো হয়েছে চোখের নিমিষে।
বোধগম্য কারণেই ছাত্রলীগ ছাত্র ইউনিয়নের এই অগ্নিকন্যার মাথা ফাটিয়ে
হাসপাতালে পাঠিয়েছে।<br /> <br /> উত্সাহী মিডিয়া ও উত্ফুল্ল সুশীল সমাজ এটাকে
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গেও তুলনা করে বসেছেন। ২০১৩ সালে নতুন
প্রজন্ম নাকি এর মাধ্যমে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের স্বাদটি আস্বাদন করছে!
অনেকটা পিকনিকের আমেজ দিয়ে কঠিন সেই মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা
মহান মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার শামিল।<br /> <br /> তবে একটা গ্রুপ কোলকাতার
হোটেলে বা শরণার্থী শিবিরে অনেকটা এ ধরনের পিকনিকের আমেজ আস্বাদন করেছেন।
মেজর জলিল তার বইয়ে সুন্দরভাবে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এই অপরাধে একজন
সেক্টর কমান্ডার হয়েও তিনি বীর উত্তম খেতাব না পেয়ে রাজাকার-উত্তম খেতাব
পেয়েছেন।<br /> <br /> জহির রায়হান এ সংক্রান্ত কিছু ডকুমেন্টস সংগ্রহ
করেছিলেন। একটি প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে তা তুলে ধরার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ায় তিনি আর সেই সুযোগটি পাননি।
স্বাধীনতার প্রায় ৪৪ দিন পরে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের
মধ্যে এক বর্গমাইল অঞ্চলও তখন পাক সেনা বা তার দোসরদের অধীনে ছিল না। তার
এই নিখোঁজ হওয়াটি এখনও রহস্য হয়েই আছে।<br /> <br /> পিকনিক আমেজের বাইরে অন্য
একটি বিশাল দল ছিল উত্তপ্ত যুদ্ধের ময়দানে। সেটা ছিল তাহরির স্কয়ারের চেয়েও
হাজার লক্ষ গুণ উত্তপ্ত। তদানীন্তন মেজর জিয়া, মেজর জলিল, বাঘা সিদ্দিকী
সবাই ছিলেন এই তপ্ত মাঠে। ঘটনাক্রমে এরা সবাই একের পর এক রাজাকার খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন। সবচেয়ে বড় আক্রমণ করা হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষক, জেড ফোর্সের
অধিনায়ক ও অন্যতম সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াকে। যুদ্ধের সময়
তাকে লেখা জনৈক পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তার চিঠিও আবিষ্কার করে ফেলা
হয়েছে। পাকিস্তানি ওই সেনা কর্মকর্তা ওই চিঠিতে জিয়ার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ
প্রকাশ করেছেন।<br /> <br /> স্বাধীনতা যুদ্ধের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তিকে যদি পাক বাহিনী হাত করে ফেলতে পারত তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে
এই নির্মম পরাজয়টি কখনই বরণ করতে হতো না। স্বাধীনতা যুদ্ধে মাত্র নয় মাসে
আমাদের এই বিজয়, কমান্ড লেভেলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও শৃঙ্খলাটি তুলে ধরে।
কাজেই এই প্রচেষ্টাটি শুধু ঐতিহাসিক সত্যের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে না—এটা কমন
সেন্সের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।<br /> <br /> ভয়ঙ্কর দিকটি হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
প্রোথিত করার নামে একটা গ্রুপের মাঝে এই ধরনের মাইন্ড সেট তৈরি করা হয়েছে।
এই মাইন্ড সেটটি বিপরীত ধারার কোনো কথা শুনতে চায় না। কল্পনার জগতটিও এদের
বড়ই রহস্যময়। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুদের সিনেমার কাহিনীর মতো এরা
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বানায়। এদের বাঘা বাঘা গবেষকদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা
দেখলে সত্যি করুণা হয়। তাদের লেখা ইতিহাস পড়ে আমরা ভয়ে যে প্রশ্ন করি না
সেসব প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাইয়ের নাত্নী
শর্মিলা বসু। সেসব প্রশ্ন অনেক বিব্রতকর। পাকিস্তানের টাকা খেয়ে এসব
লেখেছেন বলে আমরা সেসব প্রশ্ন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছি।<br /> <br /> শাহবাগ
স্কয়ারে একটা তাহরির স্কয়ার হয়েছে জেনে অতি খুশি হয়েছিলাম। তারুণ্যের ধর্মই
হলো ভয় ও শঙ্কাহীন থাকা। তারুণ্যের ধর্মই হলো সব অত্যাচার, উত্পীড়ন,
অনাচার, কুপমণ্ডুকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। কিন্তু হতাশ হয়েছি এই
তারুণ্যের সেই খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি দেখে। চল্লিশ বছরের আগের মানবতাবিরোধী
অপরাধ এই তারুণ্যকে স্পর্শ করেছে এটা অবশ্যই আনন্দের। তবে বর্তমানের দিকে
শাহবাগের এই তারুণ্য বড্ড বেশি উদাসীন।<br /> <br /> এ দেশের কোনো সরকারের
আমলনামাটিই পরিষ্কার নয়। তারপরেও বর্তমান সরকারের আমলনামা অতীতের সব রেকর্ড
ভঙ্গ করেছে। বাজিকর, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, চাপাতি লীগ মানুষের জীবনকে
দুর্বিষহ করে তুলেছে। আর এরা পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে সরকারের সর্বোচ্চ মহল
থেকে।<br /> <br /> শেয়ারবাজারের ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর হাহাকার এই তারুণ্যের
কানে পৌঁছায়নি। হলমার্ক এই দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে তছনছ করে ছেড়েছে,
সেই ক্রোধ শাহবাগ স্কয়ারের এই তারুণ্যকে স্পর্শ করেনি। পদ্মা সেতুতে আবুল
নামক ইঁদুরেরা পুরো জাতির ভাগ্যের শিকাটি ছিঁড়ে ফেলেছে, সেই হতাশা এই
তারুণ্যকে ছুঁতে পারেনি। কুইক রেন্টাল এ জাতির গলায় যে ফাঁস লাগিয়েছে, সেই
কষ্ট এই তারুণ্যকে নাড়া দিতে পারেনি। সাগর-রুনীর ট্র্যাজেডি এই তারুণ্যের
দ্রোহে একটুও দোলা লাগাতে পারেনি। গুম ও খুনের কারণে শত শত নারী ও শিশুর
কান্না বাতাসে ভাসছে, তারুণ্যের কানে সেই আহাজারিগুলো পৌঁছতে পারেনি।<br /> <br />
কাজেই প্রশ্ন, এরা কি সেই তারুণ্য নাকি তারুণ্যের বেশে সেই জরা বার্ধক্য?
যারা ভিন্ন মতাবলম্বীর উদ্দেশ্যে বলে, ‘বিচার টিচার আবার কী, এদের ফাঁসিতে
ঝুলিয়ে দিলেই হয়।’ বার্ধক্যপীড়িত মন্ত্রীদের উচ্চারণের সঙ্গে এই তারুণ্যের
উচ্চারণ দাড়ি-কমাসহ মিলে গেছে। সেই জরা-বার্ধক্যের প্রভাব কাটিয়ে এই
তারুণ্য মূল যুদ্ধাপরাধী ইয়াহিয়া, ভুট্টো, নিয়াজী, টিক্কা খান ও রাও ফরমান
আলীদের নামগুলো উচ্চারণ করতে পারছে না। পারছে না পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫
জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর বিষয়টি সামনে আনতে। টক-দইওয়ালা গল্পের মতো হানিফ ও
সাজেদা চৌধুরীকে সামান্য বিব্রত করা ছাড়া এই তারুণ্য সরকারকে বিব্রত করার
জন্য একটা কাজও করছে না। বরং এসব ঢেকে ফেলার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের
আবেগটি ব্যবহার করছে।<br /> <br /> ‘তোমার সঙ্গে আমি ভিন্নমত পোষণ করতে পারি।
কিন্তু তোমার এই মত প্রকাশের জন্য জীবন দিতে রাজি আছি।’ এই কথাটি কোনো
জরা-বার্ধক্য উচ্চারণ করতে পারে না। এই কথাটি উচ্চারণ করতে পারে একমাত্র
তারুণ্য। কিন্তু শাহবাগ স্কয়ার থেকে আমরা এ কী শুনছি? সেখান থেকে ভিন্ন
মতাবলম্বী পত্রিকা ও টিভি বন্ধ করার হুমকি দেয়া হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে
বিরোধী দলের ব্যবসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের। এই বুড়োরা এতদিন যা
বলে এসেছে শাহবাগ স্কয়ারের এই তারুণ্য দেখা যাচ্ছে হুবহু সেই একই কথা বলছে।<br />
মানুষের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা হরণ করেছিল হোসনি মোবারকের
বাকশাল। সেই বাকশাল ভাঙার জন্যই সৃষ্টি হয়েছিল তাহরির স্কয়ার। প্রকারান্তরে
সেই বাকশালকে নতুনভাবে জোড়া লাগানোর নিমিত্তেই সৃষ্টি হয়েছে এই শাহবাগ
স্কয়ার। প্রজন্ম চত্বর।<br /> ১৯৭৫ সালের বাকশাল যে ভুল করেছিল বর্তমানের
বাকশাল সেই ভুলটি করতে চাচ্ছে না। ১৯৭৫ সালের বাকশাল জাতিকে গেলানোর চেষ্টা
হয়েছিল কোনো রকম তরল ছাড়াই। ধারণা ছিল নেতা হুমকি দিলেই জাতি তা গিলবে।
জাতি তা উগলে দিয়েছে। কাজেই এবার এমনভাবে গেলানো হবে জাতি যাতে টের না পায়
যে তারা বাকশাল গিলে ফেলেছে। এর জন্য সহযোগী হয়েছে বুঝে বা না বুঝে শাহবাগ
স্কয়ারের এই তারুণ্য।<br /> <br /> এজন্য যুদ্ধাপরাধী মামলার স্পর্শকাতরতা দিয়ে
প্রথমেই জাতির মুখটি বন্ধ করে ফেলার চেষ্টা চলছে। সব মানব প্রজ্ঞাকে বিদায়
দিয়ে আবেগের বুলডোজার আমদানি করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমান সময়ের প্রধান দাবি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটি সম্পূর্ণ চাপা পড়ে গেছে। পদ্মা সেতু বা সাঁকোর উপর
দিয়ে পার হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে জনগণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কাদের মোল্লাকে জীবন
সাঁকোর অপর পারে পাঠানোর উদ্দেশে। দরবেশ বাবাজি, হলমার্ক ও আবুলদের সঙ্গে
পাঠানোর শ্লোগান থাকলে না হয় একটা কথা ছিল।<br /> <br /> অভিযোগ উঠেছে, গলাকাটা
পাসপোর্টের মতো একজনের নাম অন্য জনের শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এই
অভিযোগগুলো বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন। হামান দিস্তা
বা বুলডোজার দিয়ে অনেক কিছুই গুঁড়িয়ে দেয়া যায়, কিন্তু মানুষের বিশ্বাসকে
টলানো যায় না। আওয়ামী লীগের এমপি রনি প্রসিকিউশনের দুর্বল দিকগুলো নিয়ে
প্রশ্ন তুলেছেন। এগুলো নিয়ে উচ্চতর আদালতে আরও বিব্রত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ
করেছেন এই তরুণ সংসদ সদস্য। মনে হচ্ছে, প্রসিকিউশনের দুর্বলতাকে সরকার
‘শাহবাগ স্কয়ার’ দিয়ে পূরণ করতে চাচ্ছে।<br /> <br /> শাহবাগ স্কয়ার সবচেয়ে
মুশকিলে ফেলেছে সম্ভবত বিএনপিকে। সরকারের এই রাজনৈতিক কৌশল বা তীরটির মূল
টার্গেট বিএনপি। তবে যে শক্তি দিয়ে বিএনপিকে আঘাত করতে চাচ্ছে সেই শক্তি
দিয়েই সরকারকে কাবু করা সম্ভব। কাজেই চুপ না থেকে বিএনপির নৈতিক অবস্থানটি
পরিষ্কার করতে হবে। এ কারণে আঠারো দল কিংবা জনগণ কারও সামনেই বিব্রতকর
অবস্থায় পড়তে হবে না। কারণ বিএনপির নৈতিক অবস্থানের পক্ষেই আছে আন্তর্জাতিক
মহল ও মানব প্রজ্ঞার অবস্থান।<br /> <br /> ১৯৭৩ সালের কোলাবেরটর বা দালাল
আইনে যে ২৮০০০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, আজকের অভিযুক্তদের একজনও সেই
তালিকায় ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তখনকার চিফ প্রসিকিউটর খন্দকার মাহবুব
হোসেন। তার এই দাবিকে কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। ডিজিটাল এই যুগে বিশ্ববাসীকে
অন্ধকারে রাখার সুযোগ নেই। সরকার যাকে বহির্বিশ্বের চাপ বলছে তা মূলত
আন্তর্জাতিক মহলের যথাযথ উদ্বেগ।<br /> <br /> মাইকেল ক্রস নামক এক ব্রিটিশ
নিউজ এডিটর লিখেছেন, Beyond the obvious point that any miscarriage of
justice involving the death penalty should be a matter of concern , the
Dhaka tribunal raises two issues. One is the abuse of the term ‘
international’ which should be reserved for war crimes proceedings under
genuinely international jurisdiction. The other is the potential for
political over-spill. Jamaat-e-Islami is a political force in some parts
of UK , and while I have little sympathy with its members I would not
like them to be handed a victim card to play.<br /> <br /> অর্থাত্—স্পষ্টতই
ন্যায়বিচারের কোনো রূপ স্খলন হেতু যদি কোনো মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তবে তা
আন্তর্জাতিক মহলের জন্য দারুণ উদ্বেগের কারণ হবে। ঢাকার ট্রাইব্যুনালটি
দুটি প্রশ্নের উদ্রেক করে। প্রথমটি হলো আন্তর্জাতিক শব্দটির অপব্যবহার।
কারণ এই পরিভাষাটি শুধু আন্তর্জাতিক জুরিসডিকশনের তদারকিতে অনুষ্ঠিত অপরাধ
ট্রাইব্যুনালের জন্যই সংরক্ষিত থাকা উচিত। অন্যটি হলো সম্ভাব্য রাজনৈতিক
প্রতিক্রিয়া। জামায়াতে ইসলামী যুক্তরাজ্যের কোনো কোনো অংশে একটি রাজনৈতিক
শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এদের সদস্যদের প্রতি আমার খুব সামান্যই
সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু এরা কারও হাতে অবিচারের শিকার হোক তা আমি চাই না।<br /> <br />
মাইকেল ক্রস তার সেই নিবন্ধে নুরেমবার্গ বিচারের প্রধান প্রসিকিউটর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারপতি রবার্ট জ্যাকসনের একটি উদ্ধৃতি টেনেছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের আগে আগে রবার্ট জ্যাকসন বলেছিলেন, It would be better to
shoot Nazi leaders out of hand than pervert the process of law by
setting up a sham court. তিনি আরও বলেছেন, You must put no man on trial
under the forms of judicial proceedings if you are not willing to see
him freed if not proven guilty.<br /> <br /> অর্থাত্—‘প্রহসনের আদালতে
বিচারের পুরো প্রক্রিয়াটিকে বিকৃত বা কলঙ্কিত করার চেয়ে অভিযুক্তদের কোনো
বিচার ছাড়া গুলি করে মেরে ফেলাই উত্তম।’ আর ‘যদি অপরাধ প্রমাণিত না হলে
অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুুত না থাক, তবে কাউকে
বিচারের আওতায় এনো না।’<br /> <br /> সরকার প্রযোজিত ও সুশীল লীগ পরিচালিত
শাহবাগ স্কয়ারের এই নাটক দেখে মনে হচ্ছে, রবার্ট জ্যাকসনের এই পরামর্শটি
মানলে সরকার অনেক ভালো করত। কাজেই আন্তর্জাতিক শব্দটির অপব্যবহার করলে
আন্তর্জাতিক মহল চুপ করে থাকবে না। তখন শাহবাগ স্কয়ার থেকে নেয়া এই ‘মনোবল’
খুব বেশি কাজে দেবে না।<br /> <br /> কাজেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের উচিত
হবে সুশীল লীগের প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হয়ে নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে জোর কদমে
অগ্রসর হওয়া। শাহবাগ স্কয়ারের নামে শাহবাগ নাটকের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যগুলো
জনগণের বোধগম্য ভাষায় বুঝিয়ে বলতে হবে। এদেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ প্রায়
পুরোটাই আওয়ামী কব্জায়। কাজেই সারা দেশের দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজকে দ্রুত
কার্যকর করতে হবে। চেতনাপন্থী সুশীল লীগের মতলবি প্রচারণা থেকে সব কর্মী ও
নেতাদের মুক্ত রাখতে হবে। যে চেতনাপন্থীরা স্বাধীনতার ঘোষকের মুক্তিযুদ্ধ
নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাদের কাছ থেকে দেশপ্রেমিক শক্তি কখনই প্রশংসা পাবে না।
ওদের প্রশংসায় যেমন পুলকিত হওয়া ঠিক হবে না, তেমনি ওদের গালিতে মন খারাপ
করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।<br /> <br /> দেশের অভ্যন্তরে এবং বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তে যে দেশপ্রেমিক শক্তি রয়েছে তাদের ভোকাল বা সরব হতে হবে। সবার
মুখটি খুলতে হবে। ইন্টারনেটে নিজের মতটি বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষক,
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও প্রশাসকসহ
সমাজের সর্বস্তরের নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আবেগ নয়, যুক্তির ভাষায়
নিজেদের অবস্থানটি তুলে ধরতে হবে।<br /> এই দেশটি আওয়ামী লীগের নয়। এই দেশটি বিএনপির নয়। এই দেশটি জামায়াতের নয়। এই দেশটি আমাদের সবার।<br /> <br />
আমাদের অবস্থান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের অবস্থান বিএনপির
বিরুদ্ধে নয়। আমাদের অবস্থান জামায়াতের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের অবস্থান
বাকশালের বিরুদ্ধে। আমাদের অবস্থান এক দলীয় শাসনের বিরুদ্ধে। আমাদের
অবস্থান স্বৈরতান্ত্রিক সব নিপীড়নের বিরুদ্ধে।<br /> <br /> মুক্ত চিন্তা,
গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে যারা থাকে তাদের জয় অনিবার্য। খুশির কথা, ওরা
তাহরির স্কয়ারকে এ দেশের মানুষের অনুভবে এনে দিয়েছে। কাজেই নকল তাহরির
স্কয়ার ভেঙে আসল তাহরির স্কয়ারের আবির্ভাব সময়ের অনিবার্য দাবি। সাইনবোর্ড
দেখে নয়। জনগণ চেনে নেবে কণ্ঠের আওয়াজ শুনে।<br /><span style="color: #cccccc; font-family: Arial, Tahoma, Helvetica, FreeSans, sans-serif;"><span style="font-size: 15px; line-height: 20px;"><br /></span></span></span></span><br />
<span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"type":45}" tabindex="0"><span class="text_exposed_show"><span style="font-family: Arial, Tahoma, Helvetica, FreeSans, sans-serif;"><span style="font-size: 15px; line-height: 20px;">লেখাটি লিখেছেনঃ মিনার রশীদ</span></span><br /> minarrashid@yahoo.com<br /> আমার দেশ</span></span></div>
Md.Ferdous Wahidhttp://www.blogger.com/profile/16142585261157553331noreply@blogger.com0