“নিশ্চয়ই কোন জাতির বিদ্বেষ যেন তোমাদেরকে তাদের প্রতি অবিচার করতে উদ্বুদ্ধ না করে। তোমরা নির্বিশেষে সকলের প্রতি সুবিচার কর, কারণ তাই তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী। জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজের খবর রাখেন।” (সূরা মায়িদা-আয়াত : ৮)
বিচার ও ইনসাফ প্রত্যেকটি মানুষের অতি স্বাভাবিক অধিকারের বিষয়। পানি, আলো ও বাতাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন দেশের প্রত্যেকটি মানুষই পেতে পারে। এ অধিকার থেকে কেউ কাউকে বঞ্চিত করতে পারে না, তেমনি
এ
ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা বলেছেন : ‘তোমরা ফায়সালা করবে পূর্ণ সুবিচার ও
নিরপেক্ষ ইনসাফের সাথে, আল্লাহতায়ালা তোমাদের কতই না ভালো কাজের উপদেশ
দিচ্ছেন।’
একজন শাসকের কাছ থেকে সুবিচার পাওয়া
সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার। কোন কারণে সমাজের কেউ যদি অপরাধ করে, এ
জন্য তার শাস্তি হতে পারে। কিন্তু এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যেন শাস্তির
সীমানা পেরিয়ে না যায়। কেউ কারো প্রতি প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে যেন তার
প্রতি অবিচার করে না বসে। এ সুযোগে শাস্তির মাত্রাটা যেন তার ওপর বাড়িয়ে না
দেয়। কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে তার ওপর নির্যাতন চালানো বা তাকে
মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট যেন না দেয়। এহেন কাজ আল্লাহ পছন্দ করেন না। কারণ
আল্লাহ বান্দার মনের খবর জানেন।
একজন প্রকৃত ঈমানদারের প্রতি তার ঈমানের
দাবি হলো সকল মানুষের প্রতি সুবিচার করা। ছোট-বড়, কালো-সাদা, ধনী-গরিব
সকলের সাথে তার প্রাপ্য অনুযায়ী বিচার করা। সকলের সাথে যদি সুবিচার করা না
যায়, কারো প্রতি অবিচার করা হয় তবে এটা হবে জুলুম এবং অন্যায়। আর আল্লাহ এ
জাতীয় বিচার পছন্দ করেন না। সুতরাং ঈমানের দাবি অনুযায়ী সকলের সাথে সুবিচার
করতে হবে।
এসো আমরা সকলের সাথে যেন সুবিচার করতে পারি তা এখন থেকে চেষ্টা করি।
No comments:
Post a Comment