Thursday, January 16, 2014

সাতক্ষীরা অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীঃ ফাঁস হওয়া প্রমানাদি নিয়ে তোলপাড়

সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর নামে ভারতীয় বাহিনী অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, এমন কিছু প্রমান ফাঁস হওয়ার পর ইন্টারনেট জগতে চলছে তোলপাড়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে ফাঁস হওয়া গোপন বার্তায় বেরিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসের অনুরোধে সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাজনৈতিক দমন-পীড়নে ও গণহত্যায় সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী ও বিএসএফ।

চলমান রাজনৈতিক সংকটে ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই বার্তায় দেখা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩৩তম কোরের ১৭তম, ২০তম ও ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশান, এবং বিএসএফ।

ফাঁস হওয়া বার্তাগুলো দেখুন,

দলিল গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,
২০১৩ নভেম্বরের ৭ তারিখে ইস্যু করা চিঠি পাঠিয়েছেন তৌফিক ইসলাম শাতিল। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখা যায় তিনি ২০১২ অগাষ্টে জর্ডানে বাংলাদেশ দুতাবাসের হেড অফ কনসাল ছিলেন। জর্ডানে ২৫ জন বাংলাদেশী নারী শ্রমিক অপহরণ ধর্ষণ ও গুম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি পত্রপত্রিকার সাথে কথা বলেছিলেন। এছাড়াও জর্ডানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ যখন বাংলাদেশী দুতাবাসে কর্মরত এক জর্ডানী মেয়েকে যৌন হয়রানি করে, তখন শাতিল ছিলেন ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এবং তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।


চিঠির আরেকজন হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম।দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি ৬.৯.১১ তারিখে সামরিক বাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। ইন্ডিয়ায় তার অফিসের ফোন নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানাও দেয়া আছে। ঐ অফিসে তার সহকারীর নাম ল্যাফটেনান্ট কর্ণেল ফখরুল আহসান।

যোগাযোগের আরেকজন হলেন হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদ। সবচেয়ে জুনিয়র এই ঘটনায়, এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। এডমিন ক্যাডারে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে জয়েন করেছিলৈা, পরে পররাষ্ট্রে আসে। সউদী আরবে ছিলো ছয়মাস। রেডিও আমার এর আরজে হিসেবেও কাজ করেছিলো। ঢাবি থেকে ২০১০ এ ফার্মেসিতে পাস করে।